জেন্ডায়া, সিডনি সুইনিকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী এখন এই ৫৭ বছর বয়সী তারকা

ফোর্বস সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় পুরুষদের সংখ্যাই বেশি। এবার তালিকার শীর্ষ ২০ জনের মধ্যে তিনজন নারী তারকা স্থান পেয়েছেন। কিন্তু এ তিন নারীর কেউই তরুণ তারকা নন।
২০২৪ সালের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীর বয়স ৫৭। এখনও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা নারীরা বড় বাজেটের চলচ্চিত্রে তেমন সুযোগ পান না। তবে এই সুপারস্টার শুধু তার মর্যাদা ধরে রাখতে সক্ষম হননি, বরং নিজের শর্তে চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন।
ফোর্বসের তালিকা অনুসারে, ২০২৪ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী ছিলেন নিকোল কিডম্যান। বছরে ৩১ মিলিয়ন ডলার নিট (এবং ৪১ মিলিয়ন ডলার গ্রস) আয় করে এই অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী বিশ্বের সব নারী তারকাকে পেছনে ফেলেছেন। তিনি তালিকার অষ্টম স্থান অধিকার করেন।
সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাদের তালিকা তিনি উইল স্মিথ ও অ্যাডাম স্যান্ডলারের চেয়ে এগিয়ে এবং জর্জ ক্লুনি ও ব্র্যাড পিটের ঠিক পিছনে। ফোর্বস তাকে 'এএমসি থিয়েটারের রাজকীয় রানী' বলে অভিহিত করেছে এবং উল্লেখ করেছে যে তিনি বর্তমানে 'টিভি মিনিসিরিজ জগতের অন্যতম বাণিজ্যিকভাবে সফল তারকা'।
২০২৪ সালে নিকোল কিডম্যান একাধিক হাই-প্রোফাইল প্রকল্পে কাজ করেছেন, যা তার তারকাখ্যাতিকে আরও সুসংহত করেছে। তিনি তিনটি শোতে অভিনয় করেছেন, দ্য পারফেক্ট কাপল (নেটফ্লিক্স), লায়নেস (প্যারামাউন্ট+), এবং এক্সপ্যাটস (অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও)। প্রতিটিতে তিনি প্রতি পর্বে ১ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পেয়েছেন। এছাড়াও, তিনি দুটি রোমান্টিক চলচ্চিত্র বেবিগার্ল ও এ ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার-এ অভিনয় করেছেন, যা বক্স অফিসে সফল হয়েছে। উভয় ছবিতেই তার চরিত্রের বিপরীতে তুলনামূলকভাবে কম বয়সী পুরুষ অভিনেতাদের নেওয়া হয়।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর, এই সাফল্য তাকে আবারও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক আয় করা অভিনেত্রীর শীর্ষ স্থানে পৌঁছে দেয়। এর আগে, ২০০৭ সালে তিনি ২৮ মিলিয়ন ডলার আয় করে একই তালিকার শীর্ষে ছিলেন।
তালিকায় শীর্ষস্থানে কোনো তরুণ অভিনেত্রীদের নাম দেখা যায়নি। তালিকায় স্থান পাওয়া অন্য দুই নারী তারকা হলেন মারিস্কা হারগিটে (৬১) ও স্কারলেট জোহানসন (৪০)। তারা দুজনই ২০২৪ সালে ২৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি উপার্জন করেছেন। তবে জেন্ডায়া, সিডনি সুইনি ও ফ্লোরেন্স পিউয়ের মতো তারকারা তালিকায় স্থান পাননি, কারণ তারা মূলত সহকারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন বা এখনও 'বাণিজ্যিকভাবে লাভবান' তারকা হিসেবে বিবেচিত হন না।
হলিউডের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা বলছেন, "ভবিষ্যৎ প্রকল্পের জন্য তাদের পারিশ্রমিক বেড়েছে এবং তারা বর্তমানে সবচেয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন। তবে, তারা ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ আয়কারী তারকার তালিকায় স্থান পেতে পারেন কি না, তা তাদের বক্স অফিস সাফল্যের উপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন ফোর্বস।"