ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ পলাতক সাত আসামীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিসকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামি তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. আলী আরাফাত, যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের বলেন, 'চিফ প্রসিকিউটর বনাম ওবায়দুল কাদের এবং অন্যান্য মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ পলাতক আসামিকে আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে ট্রাইবুনালে হাজির হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ওই তারিখের মধ্যে পলাতক আসামিরা ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে, তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।'
তিনি বলেন, 'আগামী ধার্য তারিখে তারা উপস্থিত না হলে, তাদের পক্ষে সরকারি খরচে স্টেট ডিফৈন্স আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর এই মামলায় অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।'
এর আগে, গত ২৯ ডিসেম্বর এই সাতজনকে গ্রেপ্তারের অগ্রগতি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা পুলিশের প্রতিবেদন দাখিল করে প্রসিকিউশন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয় , ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানায় অভিযান চালিয়ে খুজে পাওয়া যায়নি। ফলে পলাতক এই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
গত ১৮ ডিসেম্বর এই সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একই দিন সকালে ট্রাইব্যুনাল-২ এর রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
পরে এ নিয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
শুনানিতে সাত আসামির আলাদা আলাদা অভিযোগ পড়ে শোনান প্রসিকিউটর তামিম।
এর মধ্যে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগ (কাউন্ট) আনা হয়। অর্থাৎ নির্দেশ, প্ররোচনা ও উসকানি। বাকিদেরও দায় তুলে ধরা হয়। সুনির্দিষ্ট এসব অভিযোগ পড়া শেষে সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন এই প্রসিকিউটর।
পরে এ সম্পর্কিত আইন পড়ে শোনান তাজুল ইসলাম। এরপর অভিযোগ আমলে নেওয়ার পাশাপাশি সবার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২। এছাড়া শুনানির জন্য সোমবার দিন নির্ধারণ করা হয়।
