ডিবিতে ডেকে নিয়ে সাংবাদিক আনিসকে সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার: সম্পাদক পরিষদের নিন্দা
কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রাখা এবং পরবর্তীতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের ওপর রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দিচ্ছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। তাকে সেখানে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সম্পাদক পরিষদ জানায়, কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তবে তা অবশ্যই প্রচলিত আইন ও ন্যায়বিচারসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে কিন্তু অভিযোগ ছাড়াই ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া, আটকে রাখা এবং পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, 'এ ধরনের চর্চা আমরা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও প্রত্যক্ষ করেছি। সেই সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার ছিল নিয়মিত ঘটনা। বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃখজনক বাস্তবতারই পুনরাবৃত্তি।'
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বহু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অনেকেই এখনো কারাগারে রয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা এসব মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সম্পাদক পরিষদ অবিলম্বে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
