গণতন্ত্রের মুখোশে বাকশাল কায়েম করেছিলেন হাসিনা, ছিলেন পাশের দেশের সেবাদাস: সালাহউদ্দিন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মুখোশে দেশে বাকশাল ও একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার নির্ধারিত ঠিকানা দিল্লিতে গিয়ে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বে কখনো বিশ্বাস করেননি। মনে-প্রাণে কখনো তিনি বাংলাদেশে অবস্থানই করেননি। বাংলাদেশের মানুষের কখনো সেবা করেননি। তারা শুধু সেবাদাস হিসেবে এবং একটি পার্শ্ববর্তী দেশের সেবাদাস হিসেবে বাংলাদেশে তারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল—এ দেশের সম্পদ পাচার করার জন্য, এ দেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করার জন্য।'
তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ে এ দেশের মানুষ ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়েছে। নামেমাত্র সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা চালু থাকলেও প্রকৃতপক্ষে সবাই জানে—গণতন্ত্রের মুখোশে হাসিনা এই দেশে বাকশাল কায়েম করেছিলেন, একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন।'
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিজের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, 'আমি প্রায় ১০ বছর নির্বাসিত জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করেছিলেন। আপনারা রোজা রেখে নামাজ পড়ে দোয়া করেছিলেন বলে আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।'
পথসভায় আগামী নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, তারা যতটুকু জানেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনাকারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, 'আগামী নির্বাচন হবে বিশ্বস্বীকৃত। এই নির্বাচনে জনগণই তাদের নিজের ভোটের পাহারা দেবে, আর কাউকে লাগবে না।'
