দেশে চিনি মজুত থাকলে আমদানি করা হবে না: শিল্প উপদেষ্টা
দেশে উৎপাদিত চিনি গুদামে মজুত থাকলে বিদেশ থেকে কোনো চিনি আমদানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা সম্ভব।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অবস্থিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ৮৮তম আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, 'দেশে উৎপাদিত চিনি গুদামে মজুত থাকা অবস্থায় বাইরে থেকে চিনি আমদানির সুযোগ নেই। চিনিকলসমূহ আধুনিকায়ন, আখের উন্নত জাত উদ্ভাবন, আধুনিক চাষপদ্ধতি, পণ্য বহুমুখীকরণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এগুলোকে লাভজনক করা হবে।'
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান। চিনি ছাড়াও স্পিরিট, ভিনেগার ও জৈব সারসহ নানাবিধ পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
চলতি (২০২৫-২০২৬) মাড়াই মৌসুমে কেরু চিনিকলে ৭৬ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ২৫৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ আখ চাষিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক কেরুকে আরও বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে এবং উৎপাদন বাড়াতে আখ চাষি ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) রশিদুল হাসান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানসহ আখ চাষি, মিলের কর্মকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
