জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চীন-বাংলাদেশ যৌথ হৃদরোগ ক্লিনিক উদ্বোধন
দ্বিপাক্ষিক স্বাস্থ্য সহযোগিতার অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনাইসিভিডি) 'চীন–বাংলাদেশ যৌথ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ক্লিনিক' উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
এনাইসিভিডি এবং চীন সরকারের মধ্যে নতুন করে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তির আওতায় চীনের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ইউনান প্রাদেশিক সরকারের মা জুওশিন এবং ফুয়াই ইউনান হাসপাতালের শি জিনইয়াং।
ক্লিনিকের উদ্বোধনের অংশ হিসেবে একটি নতুন ওয়ান-স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার এবং সম্পূর্ণভাবে সংস্কার করা করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) উদ্বোধন করা হয়েছে, যা দেশের হৃদরোগ চিকিৎসা সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ নির্দেশ করে।
চীনের সহায়তায় এনাইসিভিডি-তে যুক্ত হয়েছে ৩৯টি সিসিইউ বেড এবং ১০ শয্যার নতুন ইমার্জেন্সি সেন্টার। এদিকে ক্লিনিক্যাল কার্যক্রম শুরু করতে ফুয়াই ইউনান হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিনের সহায়তার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, এই যৌথ ক্লিনিক দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বের প্রতিফলন। একইসঙ্গে সরকার হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিক প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং স্থানীয় চিকিৎসকদের দক্ষতা বাড়াতেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা আয় নির্বিশেষে সবার জন্য সমান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দেশে উন্নত চিকিৎসা সহজলভ্য হলে স্বাভাবিকভাবেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার প্রয়োজন কমে আসবে।'
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন নতুন ক্লিনিকটিকে 'চীন–বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহযোগিতার এক মাইলফলক অর্জন' হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি যৌথ চিকিৎসা অগ্রগতির নতুন পর্যায়ের সূচনা।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশই জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা শিল্প উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে, যা 'হেলথ সিল্ক রোড' উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নেবে।
