নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা ইসির
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে, এই প্রেক্ষাপটে ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ অনুযায়ী ভোটগ্রহণ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এ বিষয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে আমরা ভাবছি। কমিশনের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।' আগামী রোববার কমিশনের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর বিষয় মতামত আসে। বলা হয়, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা যাতে বিলম্বিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
এবার ভোটগ্রহণ দ্রুত করতে প্রতিটি কক্ষে অন্তত দুটি করে গোপনকক্ষ (স্ট্যাম্পিং বুথ) রাখার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, একটি ভোটকক্ষে একটি গোপন কক্ষ থাকে।
ইসি আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সারা দেশে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ (বুথ) নির্ধারণ করেছে।
একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে ভোটকেন্দ্র বা ভোটকক্ষ বাড়াতে হবে কি না, এমন প্রশ্নে গতকাল সোমবার ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভোটকেন্দ্র বাড়াতে হবে কি না, বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল। শনিবারের মক ভোটিংয়ে (ভোটের মহড়া) প্রাথমিকভাবে পাওয়া উপাত্ত থেকে ইসি মনে করছে, একটির জায়গায় দুটি গোপন কক্ষ করা হলে ভোটকেন্দ্র বাড়াতে হবে না।
ইসি জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে হবে ভোটগ্রহণ।
