এনসিপির নেতৃত্বে জোট গঠনে অচলাবস্থা
এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আপ বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে আলোচিত জোট গঠনের উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন এনসিপি নেতারা।
গত ২৭ নভেম্বরের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে দলের কয়েকজন নেতা আপ বাংলাদেশের সঙ্গে জোটে যাওয়ার বিরোধিতা করেন। এরপর থেকে জোট গঠনের প্রক্রিয়া আর এগোয়নি বলে জানা গেছে। এখন দলটি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই আলোচনায় ফেরার পরিকল্পনা করছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "প্রায় ১,৫০০ জন মনোনয়ন ফর্ম নিয়েছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। শিগগিরই একটি প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করা হবে। এখন পর্যন্ত আমরা এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
তিনি জানান, "মধ্যমপন্থী কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে, তবে তেমন অগ্রগতি হয়নি। আমরা শুধু আসন ভাগাভাগির কারণে জোটে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছি না। জাতীয় স্বার্থ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামীতে জোট আলোচনা হতে পারে।"
অন্যদিকে আলোচনা-প্রক্রিয়ায় যুক্ত এক নেতা বলেন, জোট গঠনের সম্ভাবনা এখন কার্যত নেই; কারণ এনসিপি আদর্শগত সামঞ্জস্যের চেয়ে কৌশলগত সুবিধাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এ বিষয়ে আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "জোট গঠনের আলোচনায় কোনো গতি নেই; পুরো প্রক্রিয়াই স্থবির। অনানুষ্ঠানিক কথা হয়, তবে আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি নেই। জোট হলেও তা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হবে। আপাতত তেমন সম্ভাবনা দেখছি না।"
এদিকে সোমবার এক অনুষ্ঠানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, "নির্বাচন সামনে রেখে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা হচ্ছে। একটি দল প্রকাশ্যে, আরেকটি দল গোপনে সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে সংস্কার নিয়ে সমঝোতা হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, "এবারের ভোট সরকার পরিবর্তনের নয়, দেশ পরিবর্তনের। এটি সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার নির্বাচন। পতিত স্বৈরাচার ছাড়া কেউ 'না ভোট'-এর পক্ষে থাকার কথা নয়। এরপরও একটি দল সংস্কারের বিপক্ষে 'না ভোট' ক্যাম্পেইন করতে পারে।"
