১৬ ঘণ্টা পর নিভল রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন, কোনো হতাহত নেই
প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর রাজধানীর মহাখালী-গুলশান সংলগ্ন কড়াইল বস্তির আগুন নিভেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহত নেই। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় আগুন নির্বাপণ সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর একে একে ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। আগুন দ্রুত বস্তির ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ায় তা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৫ ঘণ্টা পর। আর আজ সকাল সাড়ে ৯টায় আগুন পুরোপুরি নিভে।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে পাইপ কেটে যাওয়া এবং পানির কিছুটা সংকট থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের এর আগে বলেছিলেন, 'আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৯টি ইউনিট নিয়ে কাজ করছি। মাঝেমধ্যে পাইপ কেটে যাচ্ছে। ফলে পুরো সক্ষমতা নিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না; চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আগুনের উত্তর–পূর্ব দিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছি। এই দিকটার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।'
পানির সংকটের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, 'উত্তর–পূর্ব দিকে পানির কিছুটা সংকট রয়েছে। ফলে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে বিপরীত পাশের লেক থাকায় পূর্ণ সক্ষমতা দিয়ে কাজ চলছে। আমরা কাজ করছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো সংবাদ দিতে পারব।'
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে বস্তিটিতে আগুন লেগেছিল। সেই দফায় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সে সময় পুড়েছিল ৬১টি ঘর। তার দুই মাস আগে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বরও বস্তিটিতে আগুন লেগেছিল।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার অন্যতম পুরনো এই বস্তির আয়তন প্রায় ৯০ একর। যেখানে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। সরু গলিপথ ও ঘিঞ্জি ঘরবাড়ির কারণে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগলে নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
