কুমিল্লায় বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, কার্যালয় ভাঙচুর, আহত ১০
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কথা কাটাকাটির জেরে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলার জগন্নাথদিঘির পাড়ে শহীদ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ কার্যালয় ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও কালিকাপুর ইউনিয়নের রাজার বাজার ইসলামী পাঠাগারও ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জগন্নাথদীঘির উত্তর পাড় এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও জামায়াত নেতারা পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কথা–কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয়। এ সময় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে কুপিয়ে জখমসহ ছয়জনকে আহত করা হয়। একই সময় জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক কর্মীর মাথা, হাত ও পায়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে পাশের বিজয়করা গ্রামে বিএনপি কর্মী রাজুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন বলেন, 'ছাত্রদলের হামলায় জামায়াত সমর্থক ইসমাইল হোসেন আহত হয়েছেন। এছাড়া তারা কালিকাপুর ইউনিয়নের রাজার বাজার ইসলামী পাঠাগার ভাঙচুর করেছে।'
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম রাজু বলেন, আমরা স্বাধীনভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করছি। কিছু দুষ্কৃতকারী সার্বিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। রোববার রাতে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হামলায় আমাদের ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখনো পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
