সাভারে ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে যুবদল নেতার শোডাউন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিশাল শোডাউন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে আয়োজিত এই শোডাউনে প্রায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুব খান।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকার নন্দন পার্কের সামনে থেকে বিশাল এই র্যালিটি শুরু হয়। দীর্ঘ পথ প্রদক্ষিণ শেষে এটি সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় এসে শেষ হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, র্যালিতে অন্তত ৫ হাজার মোটরসাইকেলের দীর্ঘ বহর ছিল। মোটরসাইকেলের পাশাপাশি বেশ কিছু প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসও শোডাউনে অংশ নেয়।
বিশাল এই আয়োজনের ব্যয়ভার ও জনসমাগম সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুব খান বলেন, 'মূলত আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রচারণার অংশ হিসেবেই আজকের এই আয়োজন। র্যালিতে প্রায় ৫-৬ হাজার মোটরসাইকেল ছাড়াও প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।'
ব্যয় প্রসঙ্গে যুবদলের এই নেতা দাবি করেন, এত বড় শোডাউন হলেও এতে তার ব্যক্তিগত বা দলীয় বড় কোনো তহবিল ব্যয় হয়নি। তিনি বলেন, 'আমার পক্ষ থেকে যৎসামান্য কিছু ক্যাপ ছাড়া আর কোনো ব্যয় নাই। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে যার যার নিজ খরচে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেছে।'
তবে ক্যাপ বাবদ কত টাকা ব্যয় হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
র্যালিটি ঢাকা-১৯ আসনে নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীর পক্ষে নাকি কেবল প্রতীকের—এমন প্রশ্নের জবাবে আইয়ুব খান বলেন, 'দলীয় প্রতীকের [ধানের শীষ] পক্ষে আমাদের আজকের এই র্যালি।'
সড়কে বিশাল শোডাউনের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ ও যানজট প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিষয়টি স্বীকার করে নেন যুবদল নেতা। তিনি বলেন, 'এটি সত্য। ভোগান্তি তো কিছুটা তৈরি হয়। আমরা কি ভোগান্তি ছাড়া সরকার পতন করতে পেরেছি? তাছাড়া এটি তো আসলে পুরাতন ট্র্যাডিশন। আবার নতুন ট্র্যাডিশনেও আমরা আছি। সব কিছু মিলিয়েই আমরা আছি।'
এদিকে বিশাল এই মোটর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হলেও সড়কে যানচলাচলে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের (উত্তর) পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, 'মূলত অফ-পিক আওয়ারে হওয়ায় সড়কে এর খুব একটা প্রভাব পড়েনি। ওনারা সড়কের একটি লেন ব্যবহার করে এসেছেন, ফলে আমাদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি এবং কোথাও কোনো ব্লকও সৃষ্টি হয়নি।'
