বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা চালু করবে: আমীর খসরু
বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা চালু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফায় আগামীর রাষ্ট্র ভাবনা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট' শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
ড্যাব নেতাদের উদ্দেশ্যে খসরু বলেন, বিএনপির ৩১ দফায় স্বাস্থ্য খাত নিয়ে যে অঙ্গীকার আছে, তা আপনারা সারা দেশে ছড়িয়ে দিন। প্রত্যেকে ফেসবুকে পোস্ট করুন। সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করুন, তাদের জানান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা চালু করবে। এ লক্ষ্যে বিএনপি এখন থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, 'সবার আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী। ডে ওয়ান থেকে পারফর্ম করতে হবে। বিএনপি প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক কোটি মানুষকে চাকরি কীভাবে দেব, হোমওয়ার্ক করেই বলেছি।'
খসরু বলেন, আগের সেই রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা আর নেই। রাজনীতি বদলেছে, মানুষ বদলেছে। আর তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনৈতিক মন্ত্র এখন 'নবযুগের সূচনা'। দেশের সার্বিক পরিবর্তনই এখন বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। আমাদের সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্র থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশকে নিয়ে তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ চিন্তা মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রতিপক্ষের সঙ্গে তারেক রহমানের পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে খসরু বলেন, সাংঘর্ষিক রাজনীতি করতে চান না তিনি (তারেক)। আজ অনেকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে। বিএনপি কোনো দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে না। বিএনপি সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে যাচ্ছে না। কারণ, বিএনপি সহনশীল রাজনীতির পক্ষে। আমাদের স্থিতিশীলতার স্বার্থে সহনশীল রাজনীতি করতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সবাই খোঁজে 'আমার জন্য কী আছে'? মানুষ এখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা- এগুলো নিয়ে ভীষণ সচেতন। আর মানুষের এসব চাহিদা মাথায় রেখে বিএনপি আগামী রাষ্ট্র বিনির্মাণের ৩১ দফা ঘোষণা করেছে।
খসরু আরও বলেন, দেশের যত মৌলিক সংস্কার, তা সবই ৩১ দফায় আছে। তাই জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সব নেতা-কর্মীর উচিত- এই ৩১ দফা সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। মানুষকে বোঝানো, ৩১ দফায় ওই মানুষটার জন্য কী আছে সেটা তাকে বোঝাতে হবে। কারণ, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সেক্টর চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তির আর্থিক সচ্ছলতার জন্য বিএনপি কি করবে, সেটা তাকে জানাতে হবে।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. বজলুল গনি, ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান, কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিশ সিমকী, ডা. মওদুদুল হক অপু, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, আলোচনা সভা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, সদস্য সচিব ডা. শেখ ফরহাদ প্রমুখ।
