অধ্যাদেশ জারির পর গণভোট নিয়ে করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ: সিইসি
গণভোট আইন হওয়ার পরে এটা নিয়ে কী কী করণীয় তা জানাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, 'ওই (গণভোট অধ্যাদেশ) আইনটা হলে তখন আমার একটা দায়বদ্ধতা আসবে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার। আমি তো এখনো এ ব্যাপারে বক্তব্য দিতে পারি না। কিন্তু রাজনীতিবিদরা অনেক জিজ্ঞাসা করছেন- কীভাবে করবেন। কীভাবে এগুলোর জবাব দেবে, কতটা বাক্স করবেন। এগুলোর সব চিন্তা, এক্সারসাইজ শুরু করব আমরা ওই আইনটা হওয়ার পরে।'
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের চতুর্থ দিনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলসহ পাঁচটি দলের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সিইসি বলেন, 'গণভোটের কথা এসেছে। রেফারেন্ডামটা-কীভাবে ভোট করব। আগে আইনটা তো হতে হবে। রেফারেন্ডামের একটা ল'- ওখানে বলা আছে, ঘোষণার মধ্যে, অর্ডারের মধ্যে একটা আইন হবে। রেফারেন্ডাম যেটা ইলেকশন কমিশনকে অথরাইজড করবে। প্রেসক্রাইব করে দেবে-কী বিষয়ে গণভোট হবে, কীভাবে হবে ইত্যাদি।'
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের গণভোটের আইনটা আপনাদের মনে আছে? সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়া করেছিলেন মার্সাল ল এর আন্ডারে। এরশাদ করেছিলেন মার্শাল ল এর আন্ডারে গণভোট। এখন গণভোটের ওই আইনটাতো হতে হবে আগে। আইন হলে সেই আলোকে আমরা কাজ করতে পারব। এরইমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইদিনে করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সিইসি বলেন, ''ইলেকশন নিয়ে আমাদের কম অভিজ্ঞতা হয়নি। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। শুধু আমাদের উচিত হবে এদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমাদের চিন্তাভাবনা করা।'
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা কী রাজনীতিবিদরা তা জানেন। আমি আর খোলাসা করে বলতে চাই না। এগুলোর হিটওয়েব আমি ফিল করি এখানে বসে। রাজনৈতিক বাস্তবতার হিটওয়েবটা আমাকে ফিল করতে হয়। কারণ এটা খুব মসৃণ বাস্তবতা নয়।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক বাস্তবতাও সেরকম। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমাদেরকে আগাতে হচ্ছে।'
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য করেন তিনি বলেন, 'কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এগুলোকে ইগনোর করে যাওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবতা যেটা আছে সেটা বিবেচনায় নিয়ে স্মার্টলি ইউ হ্যাভ টু ট্রাই টু ওভার কাম দ্য চ্যালেঞ্জেস। একদম ইগনোর করে যাওয়া সম্ভব না বাস্তবতাটা।'
সিইসি জানান, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা সেই স্লো অ্যান্ড স্টেডি ওয়েতে, কম কথায় কাজ বেশি, কথা কম কাজ বেশি সেইভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত ইনশাহআল্লাহ সাকসেফুলি আগাতে পেরেছি।
আজ দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের ( বাসদ-মার্কসবাদী) সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি।
