৭ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ: নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন, ভোটকেন্দ্রে অন্তত ৫ সেনা চায় জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) ছয়টি দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ইসির সাথে সংলাপে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, 'নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে অন্তত ৩-৫ জন সেনা সদস্য থাকার দাবি জানাচ্ছি। এক কেন্দ্রে একজন সেনা সদস্য খুবই অপ্রতুল। কারণ ভোট কেন্দ্র দখল, হামলা এগুলো এড়াতে সেনাসদস্য সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে ইসির ভাবা উচিত।'
তিনি বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখলাম এমনও হয়েছে, ডিসি নিয়োগের ২০ দিনও হয়নি তাকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। সবচেয়ে স্বচ্ছ হচ্ছে লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে একসাথে সকল ডিসি, এসপিদের লটারির মাধ্যমে ট্রান্সফার করলে সেটা সবচেয়ে স্বচ্ছ পদ্ধতি।'
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, 'গণভোটে প্রবাসীরা কীভাবে ভোট দিবে, সে বিষয়ে ক্লিয়ার [স্পষ্ট} কোনো কিছু আসেনি। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ায় জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে বলা হলেও, গণভোট নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। গণভোটের কীসের পক্ষে হ্যাঁ বলবে, সে বিষয়েও নির্বাচন কমিশন থেকে জনগণের কাছে সহজবোধ্য কিছু প্রচারণা দরকার।'
তিনি বলেন, 'যাদের এনআইডি জটিলতা রয়েছে তাদের পাসপোর্ট দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।'
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'নির্বাচনী এলাকায় ৩টি লাউড স্পিকার নির্ধারণ করে দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। কারণ এত বড় এলাকায় মাত্র তিনটি লাউড স্পিকার দিয়ে কতটুকু কাভার করা সম্ভব? ভোটার লিস্টে ছাপা ছবিগুলো স্পষ্ট হতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'মনোনয়ন জমা দিবে প্রার্থীরা, কিন্তু দলকে ঐ সময়ে অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি কীভাবে হবে সেটা স্পষ্ট করা উচিত।'
ইসির আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুললো জামায়াত
এদিকে, সংলাপে এসে ইসির নির্বাচনি আচরণবিধির কয়েকটি দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী প্রতিনিধি শিশির মনির। বিশেষ করে পোস্টার ব্যবহার, আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি আরোপের এখতিয়ার এবং নির্বাচনী অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারণ না থাকায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পোস্টার ব্যবহারে 'দ্বৈত নীতি' নিয়ে প্রশ্ন
আচরণবিধির ৭-এর 'ক' উপধারায় 'কোন প্রকার পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না' উল্লেখ থাকার পরও ৭-এর 'ঘ' উপধারায় পোস্টারসহ অন্যান্য প্রচারসামগ্রী ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করায় ইসির দ্বৈত নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিশির মনির।
তিনি বলেন, 'আগে বলছেন পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। আবার পোস্টার সরাতে পারবে না, এই কথা বলছেন কেন?'
শাস্তি আরোপের এখতিয়ার নিয়ে ধোঁয়াশা
আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান থাকলেও, কে এই শাস্তি আরোপ করবেন (হু উইল ইম্পোজ দা পানিশমেন্ট), সে বিষয়ে আচরণবিধিতে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় শিশির মনির ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'আপনার এই আচরণবিধিতে তো নাই। বলতে হতো, কোর্টটা কে নির্ধারণ করবে? আপনার এই বিধান পড়ে মনে হয় না যে, আপনি যে শাস্তিটা আরোপ করতে চাচ্ছেন কে শাস্তি আরোপ করবে এই মর্মে আচরণবিধিতে থাকা উচিত ছিল।' এছাড়া, কোনো প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির অপরাধের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান নিয়েও তিনি অসঙ্গতি তুলে ধরেন।
অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সময়সীমা আবশ্যক
নির্বাচন-পূর্ব অনিয়মসংক্রান্ত অভিযোগ (আচরণবিধির ২৬) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, 'আমি এখন গিয়ে দেখতে পেলাম আমার ইলেকশন হচ্ছে এক জায়গায় আমি আপনাকে কমপ্লেইন দিলাম। আপনাদের বাধ্যতা থাকা উচিত, আপনাদের সামনে তো কোনো স্টিক নাই। আমি কমপ্লেইন দিয়ে বসে থাকব, আপনারা ডিসপোজ করবেন না, আমার আর কিছু করার থাকবে না। সুতরাং ইউ টাইম লিমিট... এত ঘণ্টার মধ্যে এত সময়ের ভিতরে ডিসপোজ করবেন। তিনি শত শত অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করা জরুরি বলেও মত দেন।'
নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ বাধ্যতামূলক করার দাবি
প্রতীক বরাদ্দের পর পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রেখে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক একই মঞ্চে সকল প্রার্থীর উপস্থিতিতে ইশতেহার পাঠ ও আচরণবিধি প্রতিপালনের ঘোষণা প্রদানের ব্যবস্থা 'করতে পারবেন'—এই বিধানকে ঐচ্ছিক না রেখে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান শিশির মনির।
তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় আপনাদের এখানে ইনডিসিশনে [অনিশ্চয়তায়] আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অফ মিন [বোঝাপড়া] হচ্ছে ইলেকশন কমিশন ইনডিসিশনে আছে। আপনারা একদিকে বলছেন করতে পারবেন... আমার বিবেচনায় সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য করা উচিত। এই আলোচনা নতুন প্রজন্মের কাছে একটি উদ্ভাবনী আইডিয়া দেবে এবং দেশের জন্য একটি গঠনমূলক সংস্কৃতি তৈরি করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।'
তফসিলের পর একযোগে প্রশাসনে রদবদল চায় জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাম্প্রতিক জনপ্রশাসন ও পুলিশে রদবদল কোন জায়গা থেকে করা হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন কমিশনের এখতিয়ারে আসার পর সব ডিসি-এসসিকে বদলির দাবি জানিয়েছে দলটি।
প্রয়োজনে লটারির পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পরই অতীতের মতো একদিনে সব ডিসি-এসপি বদল করতে হবে।
সাম্প্রতিককালে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনে রদবদল প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার বলেন, 'রদবদলের বিষয়টা একমাসের হয়নি, ২০ দিনও হয়নি, ডিসি সেখানে রদবদল হয়েছে। মনে হয়েছে যেন, কোনো ডিজাইন করে একটা উদ্দেশ্যে কোন জায়গা থেকে এটা হচ্ছে।'
তিনি জানান, তফসিল হওয়ার পর ইসির আওতায়া আসবে অনেক এখতিয়ার। এক্ষেত্রে লটারির পরামর্শ দেন এ নেতা।
গোলাম পরওয়ার বলেন, 'প্রশাসনে নিরপেক্ষতায় আস্থা রাখার উপায় হলো, লটারির মাধ্যমে ট্রান্সফার হওয়া। যার যেখানে তকদিরে আছে। প্রধান উপদেষ্টাকেও বলেছি, এরকম করলে প্রশ্ন থাকবে না। উনার বক্তব্যে বোঝা গেল, কোনোভাবে কোনো জায়গা থেকে শুরু করেছে। কেউ জানছেন কি, জানছেন না কিছুটা অস্পষ্ট কথা উনার থেকে বোঝা যায়।'
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন সুষ্ঠু করার ও আস্থার জায়গা বলে উল্লেখ করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'ইসি আমাদের একমাত্র আস্থার জায়গা। তাই দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম- একটা চেঞ্জ। আগেও দুয়েকটা নির্বাচনে হয়েছে- তফসিল ঘোষণার পর একদিনে, এক রাতে সব ডিসি-এসপি রদবদল ঘটেছে। জাতি আস্থা রেখেছে, কমপ্লেইন ছিল না। নির্বাচন কমিশন এরকম একটা সিদ্ধান্ত না নিলে, এখন যেটা হচ্ছে পরিকল্পিত, ইনটেনশনাল।'
আচরণবিধি ও প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ে গণভোটের প্রসঙ্গ উঠে না আসার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি জানান, জুলাই সনদের নিয়ে গণভোট প্রশ্ন প্রচারণার দায়িত্বও ইসির। পাশাপাশি সংসদের পাশাপাশি গণভোটের ব্যালট নিয়ে পরিকল্পনাও জানাতে হবে।
গত নির্বাচনগুলোর প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, 'সবার প্রত্যাশা, এবার সেটার পুনরাবৃত্তি হবে না। সরকার ইসি দল সবার একই প্রতিশ্রুতি, এটা জাতি আশা করছে।'
তিনি বলেন, 'ইসির আন্তরিতা, প্রস্তুতি, লক্ষ্য করছি আমরা। এজন্য ইসির প্রতি আস্থাশীল হতে চাই, আশান্বিত হতে চাই।'
আযাদ বলেন, 'যে পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে, বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পরিস্থিতিটাই সামগ্রিক অর্থে একটা চ্যালেঞ্জ। রাষ্ট্রকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। দুর্বল কাঠামোতে নির্বাচন করতে হচ্ছে। ইসি সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন। প্রকৃত অর্থে বিগত দিনে স্বাধীন ছিল না। কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে শিকার হয়েছে। ইসিকে কাজে লাগিয়ে জাতিকে বোকা বানানো হয়েছে। যার পরিণতি তিন কমিশনকে ভুগতে হচ্ছে, এটার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।'
বর্তমান ইসির প্রতি আস্থা থাকলেও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানান হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, 'ইসি স্বাধীন হতে হলে অবশ্যই সাহসী হতে হবে। আশাবাদী আপনারা সাহসী হবে। সাহস দেখালে হবে না শুধু; স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আজকের সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা যেন ট্র্যাডিশনাল ধারাবাহিকতা যেন না হয়, ব্যতিক্রম হবে চাই।'
আযাদ বলেন, 'শুধু পলিসি লেভেলে স্বচ্ছতা থাকলে হবে না। পলিসি লেভেলে যে পরিকল্পনা স্বচ্ছতা দেখা যাচ্ছে. ন্যায্যতা নিয়ে ডাউট [সন্দেহ] এখনও নেই।'
তিনি বলেন, 'এখনও আমরা ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো বক্তব্য রাখিনি। কনফিডেন্ট দেখিয়েছি। কিন্তু এক্সিকিউটিভ লেভেলে প্রশ্ন আছে। এক্সিকিউটিভ লেভেলে সমন্বয় না হলে চমৎকার উৎসব হবে না। সরিষার মধ্যে ভূত আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে।'
মাঠ প্রশাসনের এইকচিত্র মন্তব্য করে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, 'এ চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে কিনা ডাউট আছে। রক্ষক যেন ভক্ষক না হয়। আইন প্রতিপালন যেন হয়। সরকার পরিবর্তন হয়েছে, আমলাতন্ত্রের মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন কম এসেছে। এখানে অনেক সমস্যা জটিলতা আছে। দলীয় সরকার না হলেও দলকানা লোক সরকারে আছে।'
তফসিলের পর প্রশাসনিকসহ সব কিছু ইসির হাতে ন্যস্ত হবে বলে সার্বিক বিষয়ে তুলে ধরেন তিনি।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, 'এখানে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট তৈরি হয়। এ সরকারের বেনিফিশারি যেন নেক্সট সরকারের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ড না করতে পারে। এ ধরনের ছিদ্র থেকে গেলে নির্বাচন প্রভাবিত হবে। বিভিন্ন দলকে তুষ্ট করার জন্য হতে পারে।'
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের আহ্বান জানান তিনি।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'ইসির অনেক ভালো উদ্যোগ থাকলেও তবে এটাকে নষ্ট করে দিতে পারে যদি লেভেল প্লেং ফিল্ড তৈরি না হয়। এখন ইসির দায়িত্ব না থাকলেও সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে এ পরিবেশ তৈরি করা যায়।'
অবৈধ অস্ত্র, বৈধ অস্ত্র উদ্ধারে উপকূলীয়, পার্বত্য এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়ার পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কাজ নষ্ট হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জনপ্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এ জামায়াত নেতা।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, 'প্রশাসনে নিয়োগ বদলিতে স্বচ্ছতা না থাকলে হবে না। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে নিয়োগ বদলি হচ্ছে। জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত এমন দেখানো হচ্ছে,,, একটি দল আছে শুধু, এদেরকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এ রিপোর্টের ভিত্তিতে নিয়োগ হলে কীভাবে নির্বাচন হবে, হৈ চৈ হবে। লটারির ভিত্তিতে ডিসি, এসপি, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বদলি করতে হবে।'
বডিওর্ন ক্যামেরার সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখার পক্ষে মত দেন তিনি।
ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'ব্যালট পেপার নকল নিয়ে কথা এসেছে, ডাকসু চাকসু নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এক্সট্রা ব্যালট পেপার যেন না যায়। এসব নজর দিতে হবে।'
আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী, তার পক্ষে একজনকে শাস্তির বিধান কে কার্যকর করবে ও দলের অর্থদণ্ড নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে বলে জানান শিশির মনির।
