পল্লবীতে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা, পালানোর সময় রিকশাচালককেও গুলি
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় গোলাম কিবরিয়া নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তি পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব ছিলেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর পল্লবী থানার পেছনের সি ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে কিবরিয়াকে গুলির পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালককে গুলি করে। তার নাম আরিফ হোসেন (১৮)। এক পথচারী তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তিনি এখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন। আরিফ পল্লবীতে থাকেন।
রাত ৮টার দিকে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান কিবরিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'তিনি পল্লবী থানা যুবদলের নেতা ছিলেন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পল্লবী সেকশন-১২–এর বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি নামের দোকানের ভেতরে বসেছিলেন গোলাম কিবরিয়া। এসময় মোটরসাইকেলযোগে আসা তিনজন দুর্বৃত্ত ভেতরে ঢুকে তার মাথা, বুকে ও পিঠে পিস্তল ঠেকিয়ে টানা ৭ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাত রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার দু–তিন সেকেন্ডের মধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করতে শুরু করে। দুর্বৃত্তদের একজনের পরনে পাঞ্জাবি, একজনের গায়ে শার্ট ও আরেকজনের গায়ে শার্টের ওপর শীতের চাদর জড়ানো ছিল। প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ ছিল।
আরও দেখা যায়, দুর্বৃত্তদের একজন কিবরিয়াকে গুলি করতে শুরু করলে ভয়ে দোকান থেকে অন্য লোকজন বেরিয়ে যান। আর দুজন লুকিয়ে পড়েন। কিবরিয়াকে দুজন এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে আরও তিনটি গুলি করে দুর্বৃত্তরা দ্রুত বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় কিবরিয়াকে শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
