গণভোটসহ ৫ দাবিতে জামায়াতসহ ৮ দলের মহাসমাবেশ, মিছিল নিয়ে পল্টনে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা
জুলাই সনদের বাস্তবায়নের আদেশ জারি এবং সেই আদেশের ওপর জাতীয় গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামী দল আজ (১১ নভেম্বর) ঢাকার পল্টন মোড়ে একটি বিশাল জনসমাবেশের ডাক দিয়েছে।
আজ দুপুর দুইটা নাগাদ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন আটটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
আন্দোলনরত আটটি ইসলামি দল হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।
এদিকে পল্টনের মহাসমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে আসছেন জামায়াত, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশসহ সমমনা আট রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
বেলা দেড়টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন মোড়ে ট্রাকের ওপরে বানানো হয়েছে মঞ্চ। মিছিল আর দলীয় পতাকা নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন ৮ দলের নেতাকর্মীরা। কয়েক লাখ লোকের জনসমাগম হওয়ার আশা করছেন নেতারা ।
এর আগে, জামায়াতে ইসলামীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে জোটের নেতারা সর্বস্তরের মানুষকে বিপুল সংখ্যায় সমাবেশে যোগ দিয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৩০ অক্টোবর আট দল জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট আয়োজনসহ তাদের সকল দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।
সে সময় তারা আরও জানান, দাবি মানা না হলে ১১ নভেম্বর তারা একটি গণসমাবেশ করবে।
জামায়াতসহ আটটি সমমনা রাজনৈতিক দল কয়েক মাস ধরে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। আট দলীয় জোটের পাঁচ দফা দাবি হলো—
১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন;
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু;
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ;
৪. পূর্ববর্তী সরকারের 'জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার' দৃশ্যমান করা;৫. 'স্বৈরাচারের দোসর' জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।
৫. 'স্বৈরাচারের দোসর' জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।
