নির্বাচনে এআই ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য-গুজব ছড়ানো রোধে নতুন ‘অ্যাপ’ তৈরির প্রস্তাবনা
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুল ও মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা ও গুজব প্রতিরোধে নতুন 'অ্যাপ' তৈরির প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে গত ২০ অক্টোবর নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মতবিনিময় ও প্রাক প্রস্তুতিমূলক সভায় এই প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন বাহিনী প্রধান, বিভাগ প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। নির্বাচনে গুজবকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করে এর মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে সভায়।
সভায় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সদ্য বিদায়ি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা সফলভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি করা অ্যাপের মতো নির্বাচনের জন্যও অনুরূপ অ্যাপ তৈরিতে তারা প্রস্তুত। পূজার সময় এই অ্যাপ ব্যবহার করে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও গুজব প্রতিরোধে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় ডিজিএফআই-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনে গুজবকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট বাহিনী প্রধানদের কাছে নিয়মিত সরবরাহ করা হবে। গুজব মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন থেকে দ্রুত সঠিক তথ্য সরবরাহের ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। এছাড়া, তিনি সাংবাদিকদের জন্য একটি মিডিয়া পলিসি প্রণয়ন এবং সংকটকালীন মুহূর্তে কে কীভাবে সাড়া দেবে ও মাঠ পর্যায়ে কমান্ড কন্ট্রোল কার অধীনে থাকবে, তা সুনির্দিষ্ট করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
সভায় সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও এআই ব্যবহার করে নির্বাচনে গুজব ছড়ানো হতে পারে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে এ ধরনের অনেক কনটেন্ট শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এই লক্ষ্যে র্যাবের সাইবার ইউনিট কাজ করছে।
সভায় সার্বিকভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার, কন্টিনজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম ও নির্বাচনে এআই-এর ব্যবহার বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়। একইসাথে, ভুল তথ্য ও গুজব প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশন থেকে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সঠিক তথ্য পরিবেশনের পরামর্শও সভায় উঠে আসে।
