সমাজ থেকে বৈষম্য দূর না হলে নির্বাচন-সংস্কার কোনোটিই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে না পারলে ন্যায়বিচার, নির্বাচন ও সংস্কার কোনোটিই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না। এজন্য কার্যকর বৈষম্যবিরোধী আইন প্রয়োজন।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের মনে হয়েছে বৈষম্যবিরোধী কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে একটি বিশেষ আইন দরকার। এজন্য সর্বজনীন ব্যবহারযোগ্য আইনের চেষ্টা গত সরকারের সময়ে শুরু হয়েছে। কিন্তু ওই সরকার এ আইনের বিষয়ে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বা সাহস দেখায়নি। আর অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী চেতনাকে ধারণ করে। ফলে এই আইন এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, তিনিটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ন্যায়বিচার চান, তাহলে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে হবে, অধিকার রক্ষা করতে হবে। একইভাবে যদি আমরা চাই নির্বাচন, তাহলে বৈষম্যবিরোধী আইন প্রয়োজন। সর্বজনীন অধিকার না থাকলে সংস্কার কার্যকর হবে না। বৈষম্যবিরোধী কথা বলব, কিন্তু কোনো কোনো বৈষম্য নিয়ে কথা বলবো, আর কোনো কোনো বৈষম্য নিয়ে কথা বলবো না এটা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সবার কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছানো না গেলে, আঞ্চলিক বৈষম্য থাকলে, প্রবীণ গোষ্ঠীকে যদি সুরক্ষা না দেওয়া যায়, তাহলে কি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হলো? যদি একটি মানুষ দার্শনিকভাবে ভিন্নমত পোষণ করে তাহলে তার মনোভাবকে স্তিমিত করার জন্য তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করব, সেটা বৈষম্যবিরোধী চেতনার অংশ হতে পারে না।
