হলফনামা: গোলাম পরওয়ারের ৩৭ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে, বার্ষিক আয় সাড়ে ৪ লাখ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে খুলনা-৫ (ফুলতলা–ডুমুরিয়া) আসন থেকে হলফনামা জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তার দাখিল করা আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী, তিনি মোট ৩৭ লাখ ৮১ হাজার টাকার সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তার হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়।
গত ২৯ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেয়া হলফনামাও সম্পদ বিবরণীতে তার আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আইনি ইতিহাসের বিস্তারিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হলফনামা অনুযায়ী, পরওয়ার নিজেকে একজন ব্যবসায়ী ও সাবেক শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আয়ের কথা জানিয়েছেন।
তার ঘোষিত স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- অকৃষি জমি ও ভবন, যার বর্তমান বাজারমূল্য ১ কোটি টাকা। এসব সম্পদের অর্জনমূল্য ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে তিনি নগদ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৩ টাকা জমা থাকার তথ্য দিয়েছেন। এর বেশিরভাগ অর্থ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-তে রয়েছে।
এছাড়া তিনি ৮০ হাজার ৬৫০ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে তার অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
হলফনামায় আরও দেখা গেছে, পরওয়ারের স্ত্রী ১৫ ভরি সোনার মালিক, যার অর্জনমূল্য ছিল ৪৫ হাজার টাকা।
প্রকাশিত তথ্যে ব্যাংকে তার স্বল্প পরিমাণ জমার কথাও উল্লেখ রয়েছে। তবে এসব মূল্যবান সামগ্রীর বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ২২ লাখ ৫৭ হাজার ২০ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরওয়ার তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৮টি ফৌজদারি মামলার তথ্যও হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। এসব মামলার বেশিরভাগই ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দায়ের করা হয়েছিল।
হলফনামা অনুযায়ী, অধিকাংশ মামলায় তিনি খালাস বা অব্যাহতি পেয়েছেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো সক্রিয় ফৌজদারি মামলা নেই।
একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরওয়ার ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে খুলনা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনের পর তার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বকালের উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, নির্বাচনি এলাকায় সন্ত্রাস দমনে ৯০ শতাংশ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতিশ্রুত অবকাঠামো প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ—যার মধ্যে সড়ক, বাজার, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত—বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে পারওয়ার হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (এমকম) ডিগ্রিধারী।
তার কর নথি অনুযায়ী, ২০২৫ কর মূল্যায়ন বছরে তিনি ৫ হাজার ৬২৫ টাকা কর পরিশোধ করেছেন।
