মানিকগঞ্জে ইছামতি নদীর খাল থেকে বিরল প্রজাতির ১১ ফুট লম্বা কুমির উদ্ধার
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা এলাকায় ইছামতি নদীর একটি শাখা খাল থেকে বিরল প্রজাতির একটি মিঠা পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে স্থানীয়রা খালে কুমিরটির বিচরণ লক্ষ্য করেন, এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ সময় স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রচারণা চালানো হয়।
অবশেষে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে স্থানীয়রা দড়ি ও কাপড় ব্যবহার করে ফাঁদ পেতে কুমিরটিকে ধরতে সক্ষম হন। পরে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কুমিরটিকে উদ্ধার করেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শ ক আব্দুল্লাহ আস সাদিক টিবিএসকে বলেন, 'উদ্ধার করা কুমিরটিকে শনিবার দুপুরে খুলনা বন্যপ্রাণী রেস্কিউ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।'
তিনি জানান, কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ ফুট এবং ওজন ১০০ কেজির বেশি।
এর আগে, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মার শাখা নদী ও খালে কুমির দেখা গেছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক মাস ধরে নদী ও খালের বিভিন্ন স্থানে কুমির দেখা যাচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসীরা।
হরিরামপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মো. শরিফুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যদিও কুমিরটি চোখে দেখিনি, তবে স্থানীয়দের ধারণ করা ছবি ও ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটি মিঠাপানির কুমির।'
এছাড়া, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় কুমির লোকালয়ে উঠে আসার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, রাতে ও ভোরে পদ্মা নদী থেকে অন্তত দুটি কুমির লোকালয়ে উঠে আসছে।
