প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও সঙ্গীত শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে গানের মিছিল
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও সঙ্গীত শিক্ষক পদ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গানের মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানী ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের সামনে এই মিছিলের আয়োজন করে শিক্ষার্থী, সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত অনুরাগী সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
আয়োজকরা বলেন, সরকার তথাকথিত ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর চাপের মুখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দেশের শিশুদের সৃজনশীল ও মানসিক বিকাশের পথে বড় বাধা।
তারা এই সিদ্ধান্তকে মতাদর্শিক আধিপত্যের মাধ্যমে সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস বলে আখ্যা দেন।
তারা আরও বলেন, সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা শুধু বিনোদন নয়, বরং শিশুদের আবেগীয় বিকাশ, সৃজনশীলতা, সামাজিক সংহতি ও নান্দনিক বোধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে যেখানে শিল্প-সংস্কৃতি স্থান পাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে এসব বিষয় সংকুচিত করা জাতির ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর।
আয়োজকেরা তিন দফা দাবি জানান-
১. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ পুনর্বহাল করতে হবে।
২. শিক্ষানীতিতে বিশেষ গোষ্ঠীর চাপ নয়, বরং শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতি-মননশীল সমাজের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৩. শিল্প-সংস্কৃতি ও সৃজনশীল শিক্ষার গুরুত্ব রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং শিক্ষাজীবনের বিনিয়োগের সুরক্ষায় কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
এছাড়াও, ৪৭২ জন নাগরিক স্বাক্ষর করে এই দাবির প্রতি তাদের সমর্থন জানান।
আয়োজকরা জানান, এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মুক্তচিন্তার চর্চার ওপর সরাসরি আঘাত হানে।
