বেশি আঘাত পাই যখন ওরা আমার পাসপোর্ট মাটিতে ছুড়ে ফেলে: শহিদুল আলম
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। তিনি বলেছেন, 'সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছি যখন আমার পাসপোর্ট মাটিতে ছুড়ে মারা হয়। পরে আবার ছুড়ে মারে।'
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর দৃকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শহিদুল আলম জানান, 'সেদিন বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। প্রায় ১২ ঘণ্টা নৌপথ পাড়ি দেওয়ার পরে আমরা তীরে পৌঁছাই। আমরা সেদিন ২১০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিলাম সম্ভবত। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আটক করে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমরা তীরে পৌঁছাই।'
ইসরায়েলি কারাগারে মানসিক নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের বিষয়ে তারা বেশি আতঙ্কিত ছিল। আমাদের মানসিক নির্যাতন বেশি করেছে। তুরস্কের দুজনকে আমার সামনে টর্চার করে। জাহাজ থেকে নামার সময় আমাদের তিনজন করে ধরে। আলী নামে একজন ছিলেন, তার গায়ে ফিলিস্তিনের পতাকা আঁকা শার্ট ছিলো—সেটি খুলতে বলে।'
তিনি জানান, 'আমাদেরকে যে ফরমে সিগনেচার করানো হয়, সেখানে লেখা ছিল আমরা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছি। ইসরায়েলের হাতে আটক থাকা অবস্থায় আমিসহ অনেকেই অনশন করেছি। ইসরায়েলী বাহিনী আমাদের সব রেখে দিয়েছে, ওরা চোর, ছেঁচড়া চোর'
শহিদুল আলম আরও বলেন, 'আমার জন্য সমস্যা হয় হাঁটু গেড়ে বসার জন্য। ঘাটে যেই স্থানে আমাদের বসানো হয়, সেখানে আগে তারা প্রস্রাব করে রেখেছিল। সিলেটের যে একজন গিয়েছিলেন, তার সঙ্গে আমার জেলে দেখা হয়। এখনও সবাইকে ছাড়া হয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'অসাধারণ কিছু ব্যক্তি একসাথে হওয়ার কারনে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে কিছু করার পরিকল্পনা করছি। আমরা আবার যাব এবং হাজারটা জাহাজ নিয়ে যাবো।'