শিগগিরই একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। বিএনপি শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য 'গ্রিন সিগন্যাল' দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, 'আমরা খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দেবো। তবে তফসিল ঘোষণার পরে আমরা যখন আইনানুগভাবে পার্লামেন্টারি বোর্ডের মাধ্যমে মনোনয়ন দেবো, তখন সেটা চূড়ান্ত হবে।'
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, 'আমাদের প্রত্যেকটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছে। শুধু দু'জন নয়, অনেক আসনে আমাদের পাঁচজন, সাতজন এবং ১০জন করে যোগ্য প্রার্থী আছে। সুতরাং আমরা আমাদের একটা নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রার্থী সিলেকশনের বিষয়টা দেখতে হচ্ছে। এখন আমরা সেই কাজটা জেলা ও বিভাগভিত্তিক করছি।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা সম্ভাব্য সব প্রার্থীর কাছে ম্যাসেজ দিয়েছি যে তারা একই বক্তব্যে দেবেন। ধানের শীর্ষের পক্ষে। যাকেই ধানের শীষের প্রতীক দেওয়া হবে, তারপক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।'
কর্মসূচি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, 'নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মসূচি না, গণসংযোগ হতে পারে। এখানে কর্মসূচির কোনো বিষয় নেই। নির্বাচনকেন্দ্রিক যাতে জনসংযোগটা বাড়ে এবং আমাদের বার্তাটা জনগণ ও ভোটারদের কাছে যায়, সেটা প্রচারের মাধ্যমে আমরা আরও জোরদার করব। সেটার কাজ চলছে। হয়তো আমরা গতি বা পরিধি বাড়াব।'
সমমনাদের আসন ছাড়ের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যাদের সঙ্গে জোট হবে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এখন চলমান। আমরা জোটের কাছে সেই আসনগুলো চাইব বা ছাড়ব, যে আসনগুলো জয়লাভ করতে পারবে। তারা তো তাদের দাবি উত্থাপন করবেই।'
এনসিপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সালাহউদ্দিন বলেন, 'রাজনৈতিক আলোচনা তো সব দলের সঙ্গেই হয়। এনসিপির সঙ্গেও হয়। তবে আসনভিত্তিক কোনো আলোচনা তাদের সঙ্গে আমাদের হয়নি।'
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের পরবতীর্তে আওয়ামী লীগের যে তৎপরতা আমরা দেখেছি, তাতে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো রকমের অনুশোচনা আসেনি। জাতির কাছে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। উল্টো গণঅভ্যুত্থানকারীদের তারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করছে।'
তিনি বলেন, 'দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য পতিত স্বৈরাচারী নেত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র লিপ্ত আছেন।'
নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের পরে উনার প্রেস সচিব এবং আইন উপদেষ্টা ব্যাখা দিয়েছেন যে- আওয়ামী লীগেরা বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা, সেটা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মাধ্যমে। তবে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি ছিল আমাদের।'
তিনি বেলন, 'আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি ও নির্বাচন করতে পারবে কি না, সেটা বিচারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সরকারের উচিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা।'