সরকার বা আদালত নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: বিএনপি নেতা ডা. জাহিদ

আওয়ামী লীগ যেকোনো সময় রাজনীতিতে সচল হতে পারে—প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নতুন করে রাজনীতিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় আইন-আদালত বা সরকারি সিদ্ধান্ত নয়। এই সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। গণহত্যাকারী, গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজহার শফিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, 'বিএনপি আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য সোচ্চার। গণহত্যাকারী যারা আদেশ দিযেছে তাদের আইনের আওয়তায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী হোক আর অতি উৎসাহী যে-ই হোক। বিএনপি বারবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আইন-আদালত করবে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, বিএনপির বক্তব্য পরিস্কার। সবসময়েই তা বলে এসেছে।'
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলে কিন্তু তাদের ২৪-এর গণহত্যা নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই। আয়নাঘর, লুটপাট যারা করেছে, প্রতিহিংসাপরায়ণ যারা করেছে, দিনের ভোট রাতে করেছে তাদের কোনো অনুশোচনা আছে? তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিঃশর্তভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাদেরকে ক্ষমা করবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে।'
শেখ হাসিনার উদ্দেশে ডা. জাহিদ বলেন, 'বিএনপি ও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনকারী শক্তির যে ঐক্য হয়েছিলো, যদি ভয়ে ভীত হতো তারা—তবে শেখ হাসিনা পালাতেন না। সত্যিকার রাজনীতিবিদ হলে তিনি মাঠের রাজনীতি করতেন, হয়তো জেলে যেতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যা করেছেন, যে অন্যায় করেছেন।'
বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা চাই সেটা হোক। জনগন দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সেই সুযোগটা আসুক।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ভাবতে হবে, এই সমাজটা আমাদের সবার। এই ভাবনাটা যদি না আসে তাহলে কিন্তু ইনক্লুসিভনেস তৈরি হবে না। আর তা তৈরি না হলে সমাজে সাস্টেনেবিলিটি আসবে না। সমাজের প্রবীণ মানুষদের জন্য আলাদা উইন্ডো তৈরি করার জন্য একটা চিন্তা দরকার। তাদের জন্য সামান্য বাজেট রাখা দরকার। প্রবীনরা যেন সমাজের বোঝা না হয়, সেই বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব আমাদের গ্রহণ করতে হবে। তারা যেন সম্মানের সাথে সমাজে বসবাস করতে পারে, সে বিষয়ে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।'