রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচলে আবারও শ্রমিকদের বাধা, যাত্রী ভোগান্তি

রাজশাহী থেকে আবারও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণার পর টিকিট কেটে নতুন করে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী শিরোইল বাসস্ট্যান্ড থেকে কয়েকটি বাস ছাড়লেও শ্রমিকরা এসে তা আটকে দেন।
জানা যায়, ন্যায্য বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার রাত পর্যন্ত শ্রমিকরা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার সকালেও তারা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যান।
এর আগে, সোমবার দুপুরে মালিকপক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
মালিকদের দাবি ছিল, আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগের মতো সুশৃঙ্খলভাবে বাস চলবে।
তবে ওই সিদ্ধান্তের কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্রমিকদের একাংশ তা প্রত্যাখ্যান করে ফের ধর্মঘটে যান।
শ্রমিকদের অভিযোগ, একই রুটে চলাচলকারী একতা পরিবহনের মতো সুবিধা তারা পাচ্ছেন না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না বলেও ঘোষণা দেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে হঠাৎ করেই বাস বন্ধ করে দেন মালিকরা।
চলতি মাসেই বেতন ও সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে আরও দুই দফা বাস বন্ধ করেছিলেন চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীরা। বারবার এভাবে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
শিরোইল বাসস্ট্যান্ডে এক নারী যাত্রী বলেন, 'ধর্মঘট প্রত্যাহার শুনে আমি ঢাকায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আবার বন্ধ করে দিয়েছে। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। বলছে যেখানে থেকে টিকিট কেটেছি সেখানেই ফেরত নিতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন আবার সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। অথচ আমাকে জরুরিভাবে ঢাকায় যেতে হবে।'
শ্রমিকদের পক্ষে দেশ ট্রাভেলসের চালক সাদেক বলেন, 'মালিকরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমরা মানি না। শুধু চালক নয়, সুপারভাইজার ও সহকারীরও সুবিধা বাড়াতে হবে। আমাদের দাবিগুলো মানা না হলে আবারও টানা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।'