উপাচার্যের আশ্বাসে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের

শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তাদের 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। সেই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে আবারো কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২টায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে জিয়া পরিষদ ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব সভা করেন।
সভায় উপাচার্য গত ২০ সেপ্টেম্বরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম।
আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'উপাচার্যের মৌখিক প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের চলমান আন্দোলন কর্মসূচি আগামীকাল থেকে আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হলো।'
দ্রুত জড়িতদের শাস্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না করা হলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম সাধারণ শিক্ষকদের নিয়ে আবারও কর্মসূচি শুরু করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে উপাচার্য সিনেট ভবনের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, 'সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে।' রাকসু নির্বাচন আগামী ১৬ অক্টোবর সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল বুধবার দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাত কার্যদিবসের জন্য তাদের 'শাটডাউন কর্মসূচি' স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর পোষ্য কোটা ইস্যুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করে পরদিন থেকে 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি শুরু করেন। এতে পুরো ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা তৈরি হয়। পরে রাকসু নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়ে নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করে।