এনায়েত করিম ও তার সহযোগীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
রমনা মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী ও তার সহযোগী এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় তাদের আটক করা হয়।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে, ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামানের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় এনায়েতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনায়েতের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই মামলায় ১৭ সেপ্টেম্বর সহযোগীসহ এনায়েতেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি এনায়েত করিম চৌধুরী বর্তমানে বাংলাদেশের বৈধ অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে এসে জননিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছেন, যা গুরুতর অপরাধ। ওই ঘটনায় রাজধানীর রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, এজাহারনামীয় আসামি এনায়েত করিম চৌধুরী বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সকল কর্মকাণ্ড, যোগাযোগ, লেনদেন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তার সহযোগী এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদের সহায়তায় অন্তবর্তীকালীন সংকারকে উৎখাতে ভিন্ন একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসাবে বাংলাদেশে এসেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। আসামিরা বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জন-নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণের মধ্যে আতংক সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে এবং উচ্চপদস্থ লোকজন ও ব্যবসায়ী মহলের সাথে গোপনে সভা-পরামর্শ করে বিভিন্ন স্থানে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র, সহায়তা প্ররোচিত করার মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে মর্মে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিবিড়ভাবে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তাদের পরবর্তীতে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হতে পারে। এমতাবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামিদের জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
