সংবিধান আদেশ-২০২৫ এর মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব জামায়াতের

সংবিধান আদেশ-২০২৫ এর মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, 'আমরা প্রস্তাব করেছি সংবিধান আদেশ-২০২৫ এর মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং সেটার ওপর গণভোট করলে সেটি আরও শক্তিশালী হবে।'
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, 'এতে করে পরবর্তীতে কেউ এটি চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকবে না।। কারণ সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে জনগণের অভিপ্রায়ের যে কথা বলা হয়েছে, সে অনুযায়ী সংবিধান আদেশ হলে এটি শক্তিশালী হবে।'
তিনি ১৯৭০ সালের এলএফও, জিয়াউর রহমানের রেফারেন্ডাম এবং ৯১- এর গণঅভ্যুত্থানের পর সংবিধানের পরিবর্তনের বিষয়টি রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, 'জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিলে আগামীতে এর ভিত্তিতেই ভোট হতে হবে। এতে নির্বাচন উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য হবে।'
তিনি বলেন, 'জুলাই সনদে ৮৪টি বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাই এটি বাস্তবায়নে আর কোনো বাধা নেই। আলোচনারও কিছু নেই। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি সনদ সই হলেই রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বীকৃত হবে। গণতন্ত্রের পথে নবযাত্রায় এর আইনি ভিত্তির বিকল্প নেই। যাতে করে পরবর্তীতে কেউ চ্যালেঞ্জ করে এটি রহিত করার সুযোগ না পায়।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে অতীতে এ ধরনের নজির রয়েছে। এমনকি সাংবিধানিক সংশোধনীও রহিত করা হয়েছে। ষোড়শ সংশোধনীও বাতিল করা হয়েছে। তাই জুলাই সনদকে সংবিধান আদেশে আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা বলেছি।'
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আরও জানান, 'আমরা সাংবিধানিক নয়, সংবিধান আদেশ চাই। কারণ সাংবিধানিক আদেশও অনেক সময় চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকে। সংবিধান আদেশ হলে এটি শক্তিশালী হবে। আর গণভোটের মাধ্যমে হলে আরও মজবুত হবে। আমরা সে প্রস্তাব দিয়েছি।'