ফরিদপুরে সংসদীয় আসনসীমা পুনর্নির্ধারণের দাবিতে আসছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক

দিন দিন ফরিদপুরের ভাঙ্গা আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করছেন।
গত ১১৮ বছর ধরে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি ভাঙ্গা উপজেলারর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে ফরিদপুর-৪ আসনকে দুটি আসন করার দাবি থাকা সত্ত্বেও, নির্বাচন কমিশন ওই দুটি ইউনিয়নকে ভাঙ্গা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভাঙ্গার বারোটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বাসিন্দারা।
তাদের দাবি, এতদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মসূচি চালালেও এবার থেকে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

ভাঙ্গা উপজেলা সর্বদলীয় ঐক্য কমিটি জানিয়েছে, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভাঙ্গার সড়ক ও রেলপথ অবরোধ থাকবে। এরপর রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি চলবে। এতে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, ভোগান্তিতে পড়বেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম. ম. ছিদ্দিক মিয়া এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, 'টানা চার দিন হাজার হাজার মানুষ আন্দোলনে অবস্থান নিয়েছে। সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। শুক্রবার অবরোধ থাকবে না। শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে যদি নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর-৪ আসনে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে পুনর্বহালের ব্যবস্থা না করে, তাহলে রোববার ভোর ৬টা থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে।'

উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে স্থানীয়রা গেজেট বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবিতে তারা একাধিকবার সড়ক অবরোধ করলেও প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন।
তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষে গত ৯ সেপ্টেম্বর আবারও মহাসড়ক অবরোধ শুরু হয়, যা চলে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপরও দাবি না মানায় নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।