জাকসু: নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা আনল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত 'সম্প্রীতির ঐক্য' প্যানেল নির্বাচন কমিশনের প্রতি চূড়ান্ত অনাস্থা প্রকাশ করেছে।
প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী স্মরণ এহসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, 'এই নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। তারা শুরু থেকেই আমাদের আস্থা ও আকাঙ্ক্ষার জায়গা নষ্ট করেছে।'
তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা অনিয়মের পরিসংখ্যান প্রকাশিত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগটি ছিল, ভিপি প্রার্থী অমর্ত রায়ের প্রার্থিতা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করা।'
তিনি আরও বলেন, 'সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কেন্দ্রগুলোতে পোলিং এজেন্ট রাখতে পারিনি, তাদের হেনস্তা করা হয়েছে, অকারণে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।'
পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে প্রশাসনের দ্বৈত আচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মধ্যরাতে আমাদের জানানো হয়েছে, পোলিং এজেন্ট রাখা যাবে। কিন্তু সকালে তাদের প্রবেশে নানা বাধা আসে। রোকেয়া হলসহ অনেক হলের প্রশাসন পোলিং এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দেয়।'
প্রার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, 'অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে কালো কালি ব্যবহার করা হয়নি, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার অপরিহার্য অংশ। এমনকি, এলইডি স্ক্রিনে ভোটগ্রহণের সরাসরি সম্প্রচার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, তা দীর্ঘ সময় বিকল ছিল।'
ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলা হয়, 'প্রতিটি হলে ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্থার কর্মীরা প্রার্থীদের নাম সম্বলিত চিরকুট বিলি করেছে।'
প্যানেলের সহকারী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান নিকি বলেন, 'প্রথম দুই-তিন ঘণ্টা নানা ধরনের বিভ্রান্তি ও অপ্রাসঙ্গিক নিয়মের কারণে পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। কিছু হলে পোলিং এজেন্টদের ছবি লাগাতে বলা হয়, আবার কিছু হলে অন্য নিয়ম ছিল।'
সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল বলছে, এ ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতির ফলে তাদের নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা তলানিতে পৌঁছেছে। তাদের দাবি, নির্বাচনের স্বচ্ছতা রক্ষা করতে আরও মনিটরিং ও পরিকল্পনা দরকার।