নতুন চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম গমবাহী জাহাজ বাংলাদেশের পথে, অক্টোবরের মাঝামাঝি পৌঁছাবে দেশে

নতুন পাঁচ বছর মেয়াদি সরবরাহ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে প্রথম জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টি বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি অক্টোবরের মাঝামাঝি নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
৫৫ হাজার মেট্রিক টন বা ২২ লাখ বুশেল 'হার্ড রেড উইন্টার' জাতের গম নিয়ে গত ৩০-৩১ আগস্টের উইকএন্ডে জাহাজটি এডিএম কর্পাস ক্রিস্টি থেকে যাত্রা শুরু করে।
চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে এই যাত্রায় প্রায় ৪০ দিন সময় লাগতে পারে।
টিবিএসকে জাহাজ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, 'প্রথম চালানটি অক্টোবরের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রথম চুক্তিতে আমরা প্রতি টন ৩০২.৭৫ ডলার দামে ২.২ লাখ টন গম কিনেছি। এই চুক্তির মেয়াদ শেষে নতুন মূল্যে আবার চুক্তি সই করা হবে।'
মনিরুজ্জামান জানান, শিগগিরই 'হার্ড রেড উইন্টার' জাতের গম নিয়ে আরও দুটি এবং 'সফট হোয়াইট' জাতের গম নিয়ে একটি জাহাজ বোঝাই করার কথা রয়েছে।
এই চালানটি একটি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) অধীন প্রথম চালান। গত ২০ জুলাই ঢাকায় বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের গম শিল্পের বৈদেশিক বিপণন সংস্থা ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাসানাত হুমায়ুন কবির এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ইউএসডব্লিউর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো সাওয়ার্স।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বার্ষিক ৭ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করবে। কর্মকর্তারা জানান, এই চুক্তির লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে উচ্চমানের গমের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা; একই সঙ্গে মার্কিন কৃষকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য রপ্তানির বাজার তৈরি করা।