সুষ্ঠু জাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন: শিবির-সমর্থিত ভিপি প্রার্থী

ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল 'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট' অভিযোগ করেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পুরনো রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভিপি পদপ্রার্থী আরিফুল্লাহ বলেন, 'গতকাল থেকেই আমরা দেখছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।'
ব্যালট পেপার ও ওএমআর শিট জামায়াতঘেঁষা প্রতিষ্ঠানে ছাপানো হয়েছে- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এইচআরসফট বিডি নামের যে প্রতিষ্ঠানটি ছাপার কাজ করেছে, সেটি পরিচালনা করেন রকমনুর জামান রনি, যিনি বিএনপি সমর্থক। তার ফেসবুক প্রোফাইলে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও অন্যান্য বিএনপি নেতার ছবি রয়েছে। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।'
আরিফুল্লাহ আরও বলেন, '৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও আমরা নানা ধরনের অনিয়ম লক্ষ্য করেছি। সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের পূর্ণ প্রস্তুতি থাকার কথা ছিল, কিন্তু তারা প্রস্তুত ছিল না।'
তিনি দাবি করেন, ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন তারা। তিনি বলেন, 'আমরা গতরাতে এজেন্ট বসানোর জন্য আবেদন করি। কিন্তু প্রশাসন অনেক দেরিতে সিদ্ধান্ত নেয়। সকালে যখন আমরা এজেন্ট পাঠাই, তখন হল কর্তৃপক্ষ দেরি করে তাদের ঢুকতে দেয়।'
আরিফুল্লাহর অভিযোগ করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে সাবেক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও বহু সাবেক ছাত্রদল কর্মী বিভিন্ন পয়েন্ট ও হলে ঘোরাফেরা করেছেন। তারা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু বারবার অভিযোগ করার পরও কমিশন কিছুই করেনি।
তিনি আরও জানান, সাংবাদিকদেরও শুরুতে নারীদের হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, অথচ তাদের সেখানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত ছিল।
অতিরিক্ত ব্যালটপেপার নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা জানতাম অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ব্যালট ছাপানো হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল এগুলো সিল করে রাখা হোক এবং ভোটারসংখ্যার সমান ব্যালটই প্রত্যেক হলে দেওয়া হোক। কিন্তু আজ আমরা অনেক হলে অতিরিক্ত ব্যালট পেয়েছি। এটা কমিশনের প্রস্তুতির ঘাটতির পরিষ্কার প্রমাণ।'
তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, তাদের কাছে তথ্য আছে- ছাত্রদলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বহিরাগতরা ক্যাম্পাসের চারপাশে জড়ো হচ্ছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক। যে কোনো সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।