গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরে মহানগরীর বাসন থানাধীন কলম্বিয়া এলাকায় দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিকেরা। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মহাসড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কটির দুইপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে পুলিশ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।
জানা গেছে, আলিফ ক্যাজুয়াল লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৮টায় কলম্বিয়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ করার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, মহানগরীর বাসন থানাধীন কলম্বিয়া এলাকায় আলিফ ক্যাজুয়াল লিমিটেড নামের কারখানায় প্রায় ৮০০ শ্রমিক কর্মরত। শ্রমিকদের জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন চাইলে কারখানা কর্তৃপক্ষ টালবাহানা শুরু করে। তারা কোন তারিখ ঘোষণা করছিল না। এ কারণে আজ সকাল ৮টার দিকে কলম্বিয়া মোড়ে বিক্ষোভে নামেন কারখানার শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। খবর পেয়ে জিএমপির বাসন থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের প্রথমে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরাতে ব্যর্থ হয়। পরে লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের জুলাই মাসের বেতন এখনো বকেয়া রয়েছে। সেপ্টেম্বর মাস চলে এলেও, আগস্ট মাসের বেতন তারা এখনো পাননি। এ কারণে সংসার চালানো তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, বকেয়া চেয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের বাসন অঞ্চলের পরিদর্শক ফারুকুল আলম জানান, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করে গত ২৮ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর এবং ৬ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কারখানাটি বন্ধ রাখে। এ কারণে শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে কিছু সময় মহাসড়কটি বন্ধ ছিল। তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে সেখানে আবার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ বিষয়ে আলিফ ক্যাজুয়াল লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।