বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা

বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ঢাকাগামী যাত্রীরা ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন। তবে, ঢাকাগামী একতা পরিবহন ও লোকাল বাস চলাচল করছে।
আজ সকালে নগরীর ঢাকাগামী শিরোইল বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, দেশ ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, গ্রামীণ ট্রাভেলস ও শ্যামলী ট্রাভেলসের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, ঢাকাগামী বাসের আপ-ডাউনের একটা ট্রিপে একজন বাসের হেল্পার পান মাত্র ৬০০ টাকা, একজন চালক পান মাত্র ১২০০ টাকা। মাসে একজন চালক ও হেল্পার গড়ে ১২ থেকে ১৪টির মতো ট্রিপ পান। একটা বাসে ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ তিনজন স্টাফ থাকেন। অথচ খাওয়া দাওয়া বাবদ ট্রিপ প্রতি তিনজনকে মাত্র ১০০ টাকা খরচ দেওয়া হয়।
তারা ঢাকাগামী আপ-ডাউন একটি ট্রিপে চালকদের জন্য বেতন ২০০০ টাকা, সুপারভাইজারের ১১০০ টাকা এবং হেল্পারদের জন্য ১০০০ টাকা করার দাবি করেছেন। এছাড়া, হোটেল ভাড়া বাবদ ২০০ এবং প্রতিবেলা খাবারের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা দাবি করেছেন। এছাড়া প্রতিবছর ঈদ বোনাসের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের একজন হেল্পার রেজা বলেন, 'আমাদের আপ ডাউন একটা ট্রিপে মাত্র ৬০০ টাকা দেওয়া হয়। অথচ ট্রিপ প্রতি আমাদের ২০০ টাকা খরচ হয়। তাহলে।ট্রিপ থাকে ৪০০ টাকা। মাসে ১৪টা ট্রিপ পেলে মাসিক ইনকাম হয় ৫৬০০ টাকা। এই বেতনে সংসার কীভাবে চলবে?'
বাস চালক লিটন বলেন, 'আমাদের মাসে যে টাকা দেওয়া হয়, তা দিয়ে আমরা মাসে এক কেজি গরুর মাংস খেতে পারি না। যে বেতন দেয়, সে বেতনে সংসার চালাবো কীভাবে, ছেলেমেয়েদের পড়া-লেখা করাবো কীভাবে?'
আরেকজন শ্রমিক বলেন, 'একতা পরিবহনের বেতন বেশি। সেজন্য শ্রমিকরা তাদের বাস চালাচ্ছে। আমাদের বেতন কম, এজন্য আমরা গাড়ি চালাচ্ছি না।'