কুমিল্লায় নিজ বাসা থেকে মা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লা নগরীতে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তার মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে নগরীর কালিয়াজুরি খেলার মাঠসংলগ্ন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন তাহমিনা আক্তার ফাতেমা (৫২) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার রিন্তি (২৩)। সুমাইয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, 'এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।'
বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানান, চার বছর আগে কুমিল্লার আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাসাটি ভাড়া নেন। গত বছর তার মৃত্যুর পর থেকে স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা তার পরিবার নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করছিলেন।
আনিছুল আরও বলেন, 'টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, একজন ব্যক্তি রোববার দিনের বেলায় তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করেছিল। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।'
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, 'এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।'
তাহমিনার বড় ছেলে মো. তাজুল ইসলাম ফয়সাল জানান, তিনি ঢাকায় আইন পেশায় কর্মরত, তার ছোট ভাই কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন।
তাজুল বলেন, 'গতকাল ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে যাই। আমার ভাইও বাসায় ফিরে নিজের রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেন। আমরা মাকে বারবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে মায়ের রুমে যাই। সেখানে মায়ের নিথর দেহ দেখতে পাই। পরে বোনের কক্ষে গিয়েও বোনের মরদেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।'
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা তার মা ও বোনকে হত্যা করে মোবাইল, ল্যাপটপ, কানের দুল নিয়ে গেছে।