মব ভায়োলেন্স একটি বড় সমস্যা, দক্ষিণপন্থীরা শক্তিশালী হয়ে উঠছে: টিবিএসকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মব ভায়োলেন্স এখন দেশের বড় সমস্যাগুলোর একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণপন্থীরাও ক্রমে আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠছে, বিশেষ করে গত বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নির্বাহী সম্পাদক শাখাওয়াত লিটনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মব ভায়োলেন্স বন্ধ না হলে তা দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
তিনি স্বীকার করেন, এ সমস্যার সমাধানে সরকার ও রাজনৈতিক দল—উভয়েরই দায়িত্ব রয়েছে। তবে বিএনপি সবসময়ই মব ভায়োলেন্সর বিরোধিতা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'দুর্ভাগ্যক্রমে, সম্প্রতি আমরা দক্ষিণপন্থী দলগুলোর উত্থান দেখছি। কিছু গোষ্ঠী ও ব্যক্তি প্রকাশ্যে বলছে, শরিয়াহর বিরুদ্ধে কিছু বলা হলে তা বরদাশত করা হবে না, নারীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। আমরা যে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদার গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে চাই, এটা তার বিরুদ্ধে।'
তিনি টিবিএসকে বলেন, 'এ ধরনের গোষ্ঠী আগেও ছিল, তবে ৫ আগস্টের পর থেকে তাদের কর্মকাণ্ড ও প্রচারণা আরও দৃশ্যমান হয়েছে।'
এই গোষ্ঠীগুলোর অনেকেই গণপিটুনিতে জড়িত কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, 'আমাদের অভিজ্ঞতাও তাই বলে, এবং সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও একই ইঙ্গিত দেয়।'
তিনি মনে করেন, গণতন্ত্র ও ধারাবাহিক রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমেই মব ভায়োলেন্স সংস্কৃতি ও চরমপন্থী প্রবণতা মোকাবিলা করা সম্ভব।
বিএনপি মহাসচিব অন্তর্বর্তী সরকারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর ধরন নিয়েও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'অর্থের বিনিময়ে নির্বিচারে মামলা দায়ের করা পুলিশের সংস্কৃতি হিসেবে রয়ে গেছে, আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তবে তিনি যোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা করছে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে থাকা গভীর সমস্যাগুলো এখনো রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড মাল্টিমিডিয়া আজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তিন পর্বের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছে। দ্বিতীয় পর্বে থাকবে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনা, আর তৃতীয় পর্বে বিএনপি সরকার গঠনে গেলে তা কেমন হবে, সে বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। পুরো সাক্ষাৎকার দেখতে ও পড়তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ওয়েবসাইট ও মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নজর রাখুন।