সংসদীয় আসনের সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে একই প্ল্যাটফর্মে ইশতেহার পাঠ করতে হবে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো একটি সংসদীয় আসনের সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে একই মঞ্চ বা প্ল্যাটফর্মে এবং একইদিনে নির্বাচনি ইশতেহার বা ঘোষণাপত্র পাঠ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এই প্ল্যাটফর্মের ব্যবস্থা করবেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর পর— নির্বাচনি আসনভিক্তিক রিটার্নিং অফিসাররের তত্ত্বাবধানে একই প্লাটফর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে ভোটার ও অংশীজনদের উপস্থিতিতে নির্বাচনি ইশতেহার পাঠের সুযোগ করে দিবে ইসি। যেখানে সম্পৃক্ত থাকবে জেলা নির্বাচন অফিস।
এছাড়া রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচারণায় সহায়তা করবে নির্বাচন কমিশন ইসি। আর এটি করা হবে ডিসেম্বরে নির্বাচনের জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইসির কর্মপরিকল্পনাতে দেখা গেছে, তফসিল ঘোষণার পরে বাংলাদেশ বেতার এবং বিটিভিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচারণা এবং দলীয় প্রধানের বক্তব্য দেয়ার জন্য চিঠি পাঠাবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতারের সম্প্রচার বিভিন্ন ইলেট্রনিক মিডিয়া প্রচার করতে পারবে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গত ৭ আগস্ট নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সংবাদিকের প্রশ্নের জাবাবে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, "আপনারা ধরেই নিতে পারেন, এই শিডিউল ঘোষণার কাজটা আমাদের ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে (করব)।"
আজ বৃহস্পাতিবার (২৮ আগস্ট) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, যেদিন নির্বাচন হবে, আনুমানিক তার ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়ছি। আমার যদি ভুল না হয়, আগামী রমজান শুরু হবে ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। যদিও এটা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে। এখান থেকেই আপনারা নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখটা হিসাব করে নিতে পারেন।