সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমারের মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস

মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন খালাস পেয়েছেন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'আজকে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত মামলাটির সাক্ষ্য সমাপ্ত ঘোষণা করে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন।'
২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
ওই বছরের ২৫ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক তৎকালীন বিচারক জুলফিকার হায়াত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার পিতা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
পরে ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত হাবিবুর রহমান লাবুকে অব্যাহতি দেন এবং ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরু করেন। বিচার চলাকালে ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার এবং রিমান্ডে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।