বাঁকখালী নদীকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করার নির্দেশ হাইকোর্টের

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নদী দখলমুক্ত করা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রোববার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বাঁকখালী নদীর বর্তমান প্রবাহ এবং আরএস জরিপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণপূর্বক নদীটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে আগামী চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি নদী ও সংলগ্ন এলাকা ভিন্ন উদ্দেশ্যে ইজারা না দেওয়া, নদী এলাকার ম্যানগ্রোভ বন পুনঃস্থাপন এবং পূর্বে দেওয়া সব ইজারা বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাঁকখালীর গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটিকে চলমান মামলা হিসেবে ঘোষণা করে প্রতি ছয় মাস পর নির্দেশ প্রতিপালনের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বেলা'র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী, এডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ আলী ও এডভোকেট এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদুল হক।
২০১৪ সালে বাঁকখালী নদী রক্ষায় বেলা জনস্বার্থে রিট করলে আদালত রুল জারি করেন। সেই রুল নিষ্পত্তি করে রোববার রায় ঘোষণা করা হয়।