‘এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে?’: ফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষিপ্ত উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ উদ্বোধনের নামফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় তিনি বলেন, 'এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে? তাহলে এখানে আমার নাম কেন থাকবে? এই ফলকে আমার নাম থাকবে না।'
গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা-বাইপাস সড়কের ১৮ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করতে আজ রোববার ভোগড়া এলাকায় যান সড়ক উপদেষ্টা। তবে নামফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সেটি আর উন্মোচন করেননি।
পরে তিনি আরো বলেন, 'কোনো নাম থাকবে না। জাস্ট খালি বাইপাস উদ্বোধন হয়েছে এ কথা লেখা থাকবে। তাছাড়া আর শুধু যারা কাজ করছে, মন্ত্রণালয় বা অন্যান্য বিষয় লেখা থাকবে।' এরপর ভোগড়ায় টোল প্লাজার পাশে ফিতা কেটে সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ফাওজুল কবির।
সেখানে উপস্থিত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'এখানে নাম আসলো কীভাবে? কেন তোমরা জানো না? এখানে আমার নাম লেখা যাবে না।'
এ কথা বলে তিনি হাঁটতে শুরু করেন। এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান এ রকম নির্দেশনা কি আগে দেওয়া ছিল? জবাবে উপদেষ্টা বলেন, 'হ্যাঁ, আগেই নির্দেশনা দেওয়া ছিল।'
উদ্বোধনের আগে উপদেষ্টা বলেন, 'আশপাশের দেশের তুলনায় আমাদের রাস্তা নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি, এগুলো কমাতে হবে। আপনারা জানেন যে রাস্তাঘাট দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্র। এই দুর্নীতি কমালে এবং আমাদের প্রকৌশলীরা যদি দেখেন তাহলে এটাকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রাস্তা নির্মাণের ব্যয় কমানো সম্ভব। সড়কের ওপর আমাদের নির্ভরতা কমাতে হবে। অন্যান্য যেসব যাতায়াতের মাধ্যম রয়েছে, তার মধ্যে রেলপথ, নদীপথ ও বিমানের (আকাশপথ) ব্যবহার বাড়াতে হবে।'
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহসানুল হক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন প্রমুখ।