পিআর পদ্ধতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে: বদিউল আলম মজুমদার

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে, তেমনি কিছু নেতিবাচক দিকও আছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'পিআর পদ্ধতির ইতিবাচক দিকও আছে আবার নেতিবাচক দিকও আছে। এই পদ্ধতিতে সরকারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। তবে এ ব্যবস্থায় ভোটের হারে আসন নির্ধারণ হয়, ফলে মানুষের ভোটের যথাযথ প্রতিফলন ঘটে। অন্যদিকে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটের হারের সামান্য তারতম্যও আসনের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক পার্থক্য তৈরি করতে পারে। এতে মানুষের ভোটের সঠিক প্রতিফলন ঘটে না। এজন্য আমরা দুই ধরনের ব্যবস্থা রাখার পক্ষে মত দিয়েছি। উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি এবং নিম্নকক্ষে প্রচলিত ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব দিয়েছি।'
এর আগে গতকাল কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, ড. বদিউল আলম মজুমদার পিআর পদ্ধতিকে ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, 'পিআর পদ্ধতি একটি নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবস্থা। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে। সকালে একজন প্রধানমন্ত্রী, বিকেলে আরেকজন প্রধানমন্ত্রী।'
এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, 'ভিডিওটি খণ্ডিত ও অনৈতিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে ও পরে আমার আরও বক্তব্য ছিল, যা বাদ দিয়ে বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।'