স্পট মার্কেট থেকে আরও তিন কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার; ব্যয় ১,৪৪২ কোটি টাকা

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে আরও তিন কার্গো এলএনজি (লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই তিন কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে এক হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।
যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এই তিন কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। আগামী অক্টোবর মাসে এই তিন কার্গো এলএনজি দেশে পৌঁছাবে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে 'পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮' অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় এই এলএনজি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার সঙ্গে ২৩টি আন্তর্জাতিক এলএনজি সরবরাহকারীর চুক্তি রয়েছে। পেট্রোবাংলা এলএনজি আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করলে ওই সরবরাহকারীদের মধ্য থেকে একটি প্রস্তাবে তিনটি সরবরাহকারী কোম্পানি এবং অপর দুটিতে চারটি করে সরবরাহকারী কোম্পানি দর প্রস্তাব করে।
টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড একটি প্রস্তাবে প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজির দাম ১১.৪৪ ডলার, আরেকটিতে ১১.৩৪ ডলার এবং তৃতীয় প্রস্তাবে ১১.৫৪ ডলার প্রস্তাব করে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সরবরাহের জন্য মনোনীত হয়।
সর্বশেষ গত ১২ আগস্ট স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেয় ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সেখানে এক কার্গো এলএনজির প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৯৭ ডলার এবং আরেক কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৯০ ডলার দরে কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলা এবং শিল্প কারখানার জন্য গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সরকার এলএনজি আমদানি করছে। দেশীয় গ্যাস উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় এলএনজি আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। চলতি বছর স্পট মার্কেট থেকে শতাধিক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের। এর বাইরে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তির আওতায় সরকার কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করে।
বৈঠকে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যবই কেনার জন্য আলাদা তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এই তিন শ্রেণির বই কিনতে তিন প্রস্তাবে সরকারের ব্যয় হবে ৬০৪ কোটি টাকা। এই তিন প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি ৯০ লাখ কপি পাঠ্যবই কিনবে সরকার।
এর বাইরে ২ লাখ ৪৫ হাজার টন সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। রাশিয়া, মরক্কো ও কানাডার প্রতিষ্ঠান এসব সার সরবরাহ করবে।