চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সুবিধাসহ ৫ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— 'হল নাই, ভাতা নাই, প্রশাসনের লজ্জা নাই', '১০০ টাকার ভিক্ষুক, তারা নাকি শিক্ষক', 'কোটি টাকার বাজেট পায়, এতো টাকা কোথায় যায়', 'আবাসন ভাতা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে' ইত্যাদি।

আন্দোলনকারীরা আবাসন সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—
১. শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা। এজন্য অবিলম্বে সিন্ডিকেট সভা ডেকে বহুতল ও আধুনিক হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে।
২. শতভাগ আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত আবাসন ভাতা প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. সকল হলে অবৈধভাবে থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা শনাক্ত করে সিট বাতিল ও তাদের হল ত্যাগে বাধ্য করতে হবে।
৪. হলের আবেদনে ১০০ টাকা নেওয়ার প্রহসন বন্ধ করতে হবে। পূর্বে যেসব শিক্ষার্থী সিট পাননি, তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।
৫. মেয়েদের হলে ডাবলিং প্রথা বন্ধ করে 'ডেকার বেড' চালু করতে হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আটকা পড়েন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো প্রশাসন মনোযোগ দিয়ে শুনেছে। তবে তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব নয়, বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।'