জুলাই সনদ: ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব না হওয়া পর্যন্ত প্রতি নির্বাচনে নারী প্রার্থী ৫% করে বৃদ্ধির প্রস্তাব

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর পূর্ণাঙ্গ খসড়া পাঠিয়েছে। সনদে সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৫০ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে সংসদে নির্বাচিত নারী প্রার্থী ৩৩ শতাংশ করার লক্ষ্যে প্রতি নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ বর্ধিত হারে প্রত্যেক দল থেকে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত খসড়ার ২৪ নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদে নারী আসনের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে মূল সংবিধানের ৬৫ (৩) অনুচ্ছেদ বহাল রেখে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেসব বিষয়গুলো দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
(১) জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে বিদ্যমান ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রত্যেক দলকে আহ্বান জানানো হবে;
(২) পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিবে;
(৩) এই পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্য অর্জিত করতে হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনে ন্যূনতম ৫ শতাংশ শতাংশ বর্ধিত হারে নারী প্রার্থী মনোনয়ন অব্যাহত রাখবে।
(৪) সংবিধানে বর্ণিত জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন অব্যাহত রেখে সংবিধানের সপ্তদশ (১৭তম) সংশোধনী (যা ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সংসদে পাশ হয়) এর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়। হিসাব অনুযায়ী তা ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী মনোয়নের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থীতার লক্ষ্য ২০৪৩ সালের আগেই অর্জন হলে তাহলে সংবিধানের সপ্তদশ (১৭তম) সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত বিধান নির্ধারিত সময়ের আগেই বাতিল হয়ে যাবে।