গভর্নরসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে রাষ্ট্রপতিকে নিজ এখতিয়ারে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব জুলাই সনদে

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া গতকাল গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে কমিশন।
এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আইন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ কিছু সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদে কারও পরামর্শ ছাড়াই রাষ্ট্রপতিকে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়া প্রস্তাবে সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে রাষ্ট্রপতিকে কয়েকটি সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদে কারও পরামর্শ ছাড়াই নিজ এখতিয়ারে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি যেসব পদে সরাসরি নিয়োগ দিতে পারবেন, সেগুলো হলো:
১. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য
২. তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য
৩. বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্য
৪. আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য
৫. বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
৬. এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য
এই প্রস্তাবে ৩১টি দল ও জোট নীতিগতভাবে একমত পোষণ করলেও দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের বিষয়ে 'নোট অব ডিসেন্ট' (আপত্তিপত্র) দিয়েছে বিএনপি, এনডিএম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট ও এলডিপি।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ খসড়া পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাষ্ট্রের সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে যেসব সংস্কারে ঐকমত্য হয়েছে, এতে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
জুলাই সনদের খসড়ায় সংস্কারের জন্য ৮৪টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দলগুলোর কাছে ৮টি অঙ্গীকারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।