ট্রাফিক বক্সের পাশেই গণশৌচাগার নির্মাণ থেকে সরে এল চট্টগ্রাম সিটি করপোরশন

চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে সার্কিট হাউসের বিপরীতে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য দেওয়া জমির বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। নির্মাণাধীন স্থাপনার অবশিষ্ট অংশও শিগগির ভেঙে ফেলা হবে।
গণশৌচাগারের জন্য নির্ধারিত স্থানের এক পাশে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের একটি বক্স এবং অন্য পাশে সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার রয়েছে। সার্কিট হাউস ও পুলিশ বিভাগের স্থাপনা ঘেরা গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় গণশৌচাগার নির্মাণ না করার অনুরোধ জানিয়ে গত মাসে নগর পুলিশ কমিশনার চসিককে চিঠি দেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম সরওয়ার কামাল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'ওই স্থানটি স্থাপনার বিষয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপত্তি রয়েছে। এছাড়া এটি ভিআইপি এলাকা। নগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। এসব বিবেচনায় সিটি করপোরেশন তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যতটুকু নির্মাণ হয়েছে, তা ভেঙে দেওয়া হবে।'
সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনকে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য ৫৫০ বর্গফুট জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। গত ৪ জুন ফারুক হোসেনের সঙ্গে চসিকের স্টেট বিভাগ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত লিজ কার্যকর থাকবে। মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১,৫০০ টাকা।
চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে লিজগ্রহীতা নিজস্ব অর্থায়নে গভীর নলকূপ স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করবেন। মেয়াদ শেষে সচল অবস্থায় গভীর নলকূপ, মোটর ও অন্যান্য সরঞ্জাম চসিকের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এ ধরনের মোট দশটি শর্ত ছিল চুক্তিতে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে আউটার স্টেডিয়ামের চারপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিল জেলা প্রশাসন। মাঠটির মালিকানা চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার।