নজরদারি যন্ত্রপাতি ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ক্রয় নিয়ে তদন্ত: শফিকুল আলম

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেনা নজরদারি যন্ত্রপাতি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এসব সরঞ্জাম কীভাবে নাগরিকদের অধিকার খর্ব করতে ব্যবহৃত হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে বলেন, স্বৈরাচারী সরকার কীভাবে অবৈধ নজরদারির মাধ্যমে মানুষের অধিকার ও বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে—তা সেখানে উঠে এসেছে।
শফিকুল আলম বলেন, "কত টাকা খরচ হয়েছে, কোথা থেকে যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে এবং এগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে—সবকিছু তদন্ত করে দেখা হবে।"
তিনি আরও জানান, পুলিশের জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র কেনার বিষয়টিও সরকারের নজরে আছে। "কীভাবে এসব প্রাণঘাতী অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ব্যবহার করা হয়েছে, তা জানার জন্যও তদন্ত চলছে।"
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), পুলিশ ও র্যাব সম্মিলিতভাবে নজরদারি যন্ত্রপাতি কিনেছে ১ হাজার ৩৮২ কোটি টাকার বেশি মূল্যের। এই তথ্য জানা গেছে আমদানি নথি ও একটি চুক্তিপত্র থেকে।