চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই প্রার্থীর ডোপ টেস্ট পজিটিভ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে যাওয়া ইমরুল আসাদ ও গোলাম রাব্বনি নামের দুই প্রার্থীর ডোপ টেস্ট ফলাফল পজিটিভ এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। তিনি বলেন, "ওই দুই প্রার্থী চবি চিকিৎসা কেন্দ্রে ডোপ টেস্ট দিয়েছিলেন। তাদের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।"
নাট্যকলা বিভাগে প্রভাষক পদে তিন পদের বিপরীতে পরীক্ষায় প্রায় ৫০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তিন ধাপের এই পরীক্ষার পর তিনজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরে সিন্ডিকেটে এ নিয়োগের অনুমোদন হয়। নিয়মানুযায়ী নিয়োগ অনুমোদন হওয়ার পর চিকিৎসা সনদ দিয়ে প্রার্থীরা নিয়োগপ্রাপ্ত বিভাগে শিক্ষক পদে যোগদান করতে পারেন।
এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,"ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসার বিষয়টি আমরা শুনেছি। ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক হতে পারবে না।"
তবে এ বিষয়টি অস্বীকার আবার ডোপ টেস্ট করার কথা জানান ইমরুল আসাদ। তিনি বলেন," কোনো ভুল হতে পারে। আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আবার পরীক্ষা করাচ্ছি।"
এসবকে ষড়যন্ত্র বলছেন গোলাম রাব্বানি। তিনি বলেন,"সম্প্রতি অসুস্থ হওয়ায় আমি ঔষধ গ্রহণ করেছিলাম। সেটার প্রভাবে এমনটা হতে পারে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য অনেকেই এই নিয়োগ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে পারে। আমি প্রয়োজনে আবার আপিল করে পুনরায় ডোপ টেস্টে করাবো।"
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন,"এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর যে কোন নিয়োগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাদের ডোপ টেস্ট পজিটিভ আসবে আমরা তাদেরকে কোনোভাবেই নিয়োগ প্রদান করবো না।"
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো পদে যোগদান করতে চিকিৎসা সনদের পাশাপাশি মাদক পরীক্ষার ফলাফল বাধ্যতামূলক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।