সেপ্টেম্বর থেকে বিআইডব্লিউটিসি বহরে যোগ হবে ১৮ নতুন জলযান

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বহরে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে যুক্ত হতে যাচ্ছে ১৮টি নতুন জলযান। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নৌযানগুলো হস্তান্তরের কার্যক্রম শুরু হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নির্মাণাধীন এসব নৌযানের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগরের থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডে এসব নৌযানের ৯০ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, 'এই শিপইয়ার্ডে আমাদের ১৮টি নৌযানের নির্মাণ কাজ চলছে। আমি আজ এসেছিলাম সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে নৌযানগুলো ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ, সেপ্টেম্বর থেকে ডেলিভারি শুরু হবে।'
মেঘনা নদীতে অবৈধ বালুমহাল বন্ধ ও বৈধ বালুমহালের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিষয়টি আমি জানি, তবে এ বিষয়ে আপনারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলুন।'
বাংলাদেশে যুদ্ধ জাহাজের মতো সামরিক জলযান নির্মাণে সক্ষমতা আছে কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবো না।'
থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, শিগগিরই নৌযান হস্তান্তর শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বিআইডব্লিউটিসিকে ৬টি ফেরি, ২টি ফায়ার ফাইটিং টাগবোট, ২টি কোস্টাল ওয়েল ট্যাংকার, ৪টি কোস্টাল সি-ট্রাক, ৩টি আধুনিক ইনল্যান্ড প্যাসেঞ্জার ভেসেল এবং ১টি ইনস্পেকশন বোট হস্তান্তর করা হবে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ও প্রধান প্রকৌশলী পরিচালক জিয়াউল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা।