জামায়াত আমিরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে এ সার্জারি হয়েছে।
পরে ডা. জাহাঙ্গীর কবির নিজেই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জামায়াত আমিরের সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো জটিলতা ছাড়াই চারটি বাইপাস করা হয়েছে। তার তিনটি বাইপাস করার কথা ছিল, আমরা চারটা বাইপাস করেছি, যেন কোনো দিকে কোনো সমস্যা না হয়।
আগামী সাত দিন পর জামায়াত আমির বাসায় যেতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখন তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। আইসিইউতে তাকে দুই দিন রাখা হবে। দরকার হলে তিন দিন বা চার দিন অথবা যত দিন লাগে রাখা হতে পারে। সবকিছু সুন্দরভাবে হয়েছে।
তার রোগের সময়োপযোগী অপারেশন হয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, তার হার্টের রক্তনালিতে প্রবাহ তেমন ভালো ছিল না, যা হয় সাধারণত। ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি হয়েছে।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির আরও বলেন, জামায়াত আমির বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এত বড় সার্জারির বিষয়টি দেশের চিকিৎসক সমাজকে অনুপ্রাণিত করেছে।
এরআগে শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দলের আমির শফিকুর রহমানের আর্টারিতে (ধমনি) ছোট-বড় মোট পাঁচটি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে তিনটি ব্লক বড় (প্রায় ৮৬ শতাংশ)। বাকি দুটি ব্লকের একটি ৬০ এবং অন্যটি ৬৭ শতাংশ।
গত ৩০ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হলে এই ব্লকগুলো শনাক্ত হয়। ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি দুবার মঞ্চে ঢলে পড়েন। এরপর তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, জামায়াত আমিরের পরিবার ও দলের পরামর্শ ছিল দেশের বাইরে অস্ত্রোপচারের। কিন্তু তাতে আমির সম্মত হননি। তিনি দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা রেখেছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, সুচিকিৎসার সুবিধার্থে দর্শনার্থীদের হাসপাতালে ভিড় না করতে। সবাইকে দোয়ার আহ্বান জানানো হয়।